ভারতের আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি যাবে

বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এবং ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) কর্মকর্তারা ওই এমওইউ সই করেনছবি: সংগৃহীত

সিলেট, মৌলভীবাজারের সড়ক ব্যবহার করে আসাম থেকে মেঘালয় হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল ও তরল পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) নেবে ভারত। এ নিয়ে আজ বুধবার দুপুরে রাজধানীর সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে একটি সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়েছে।

সড়ক পরিবহনসচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরীর উপস্থিতিতে বাংলাদেশের সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর (সওজ) এবং ভারতের ইন্ডিয়ান অয়েল করপোরেশন লিমিটেডের (আইওসিএল) কর্মকর্তারা ওই এমওইউ সই করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন সন্ধ্যায় আলাদা টুইটে এ তথ্য জানিয়েছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের টুইটে বলা হয়েছে, সুপ্রতিবেশীর মনোভাব থেকে বাংলাদেশ সরকার ভারতীয় জ্বালানিবাহী যান আসাম থেকে ত্রিপুরায় পরিবহনের জন্য বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সাম্প্রতিক বন্যায় সেখানকার সড়ক যোগাযোগব্যবস্থা ভেঙে পড়েছে। এ বিষয়ে আজ একটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে।
ভারতীয় হাইকমিশনের টুইটে বলা হয়েছে, পেট্রোলিয়াম বা তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস (এলপিজি) বহনকারী ট্যাংকার মেঘালয় থেকে ত্রিপুরায় প্রবেশ করবে। আইওসিএল প্রশাসনিক মাশুল, চার্জ, স্থানীয় টোল এবং স্থানীয় ভূখণ্ড ও সড়ক ব্যবহারের ফিসহ অন্যান্য খরচ বহন করবে।

দুই পক্ষের সমঝোতা অনুযায়ী মেঘালয়ের ডাউকি থেকে বাংলাদেশের সিলেটের তামাবিল হয়ে বাংলাদেশের ভূখণ্ডে প্রবেশ করবে জ্বালানি তেল, এলপিজিবাহী ভারতীয় লরি। এরপর লরিগুলো তামাবিল সিলেট বাইপাস-ফেঞ্চুগঞ্জ-রাজনগর-মৌলভীবাজার-শমসেরনগর-চাতলাপুর পথ দিয়ে ত্রিপুরার কৈলাস্বরে যাবে। জ্বালানি পরিবহন শেষে একই পথে লরিগুলো ভারতে ফিরে যাবে।

২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ভারী বৃষ্টি ও ভূমিধসে আসাম থেকে ত্রিপুরার রাস্তা (এনএইচ ৪৪) নষ্ট হওয়ায় আসাম থেকে বাংলাদেশ হয়ে ত্রিপুরায় জ্বালানি তেল পাঠিয়েছিল ভারত। সেবার বাংলাদেশ দুই মাসের জন্য জ্বালানি পরিবহনে ভারতকে ভূখণ্ড ব্যবহার করতে দিয়েছিল।