গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম
কার্যতালিকা থেকে বাদ, ১৩ আবেদনের নথি পাঠানো হলো প্রধান বিচারপতির কাছে
সাতটি করবর্ষের বিপরীতে আয়কর কর্তৃপক্ষের দাবির বিরুদ্ধে গ্রামীণ কল্যাণ ও গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের করা পৃথক ১৩টি আবেদন কার্যতালিকা থেকে বাদ দিয়েছেন হাইকোর্ট। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আদেশের জন্য আবেদন ও এ–সংক্রান্ত নথি প্রধান বিচারপতির কাছে পাঠাতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি মো. ইকবাল কবির ও বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ আজ সোমবার এ আদেশ দেন। আয়কর বাবদ ওই দুই প্রতিষ্ঠানের কাছে দাবির পরিমাণ ১ হাজার ১০০ কোটি টাকার বেশি বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিষ্ঠান দুটির চেয়ারম্যান নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশ্লিষ্ট আইনজীবীদের তথ্যমতে, দ্বৈত বেঞ্চের বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামান ইতিপূর্বে ডেপুটি অ্যাটর্নি হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তিনটি আবেদনের (রিটের পরিপ্রেক্ষিতে রুল ইস্যুর সময়) ক্ষেত্রে রাষ্ট্রপক্ষে নিয়োজিত ছিলেন। এ বিষয়টি গতকাল রোববার আবেদনকারীপক্ষ আদালতে তুলে ধরে। এরপর আজ ওই আদেশ দেওয়া হয়।
সংশ্লিষ্ট একাধিক আইনজীবীর তথ্যমতে, ১৩টি আবেদনের মধ্যে পাঁচটি রিট এবং আটটি আবেদন (আয়কর রেফারেন্স) আদালতে কার্যতালিকায় ছিল। ১৩টির মধ্যে একটি গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের রিট এবং অপর ১২টি আবেদন গ্রামীণ কল্যাণের।
২০১১ থেকে ২০১৮—এই সাত করবর্ষে দাবি করা আয়করের বিপরীতে ২০১৫ সাল থেকে ২০২০ সালের বিভিন্ন সময়ে রিট ও আবেদনগুলো করে প্রতিষ্ঠান দুটি। রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট রুল দিয়ে পাওনা দাবি–সংক্রান্ত নোটিশের কার্যক্রম অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য স্থগিত করে। সম্প্রতি রাষ্ট্রপক্ষ আবেদনগুলো চূড়ান্ত শুনানির উদ্যোগ নেয়। এর ধারাবাহিকতায় আবেদনগুলো কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে গ্রামীণ কল্যাণের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী ফিদা এম কামাল ও সরদার জিন্নাত আলী। গ্রামীণ টেলিকম ট্রাস্টের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মুস্তাফিজুর রহমান খান ও সুমাইয়া ইফরিত বিনতে আহমেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল তাহমিনা পলি।
আদালত সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, বিকেলে আবেদন এবং এ–সংক্রান্ত নথি প্রধান বিচারপতির কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।