প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা সংবাদপত্রের স্বাধীনতায় সরাসরি আঘাত

ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশনের লোগো
ছবি: ইনমার ফেসবুক পেজ থেকে নেওয়া

প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে গত বৃহস্পতিবার রাতে সহিংস হামলার ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইন্টারন্যাশনাল নিউজ মিডিয়া অ্যাসোসিয়েশন (আইএনএমএ)। এ হামলাকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপর সরাসরি আঘাত হিসেবে বর্ণনা করেছে সংগঠনটি।

ইনমা বলেছে, হামলার সময় সাংবাদিকেরা জ্বলতে থাকা ভবনে আটকা পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এটি শুধু সম্পত্তির ওপর নয়; বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক সংলাপ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপরও সরাসরি আঘাত। একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যম গণমানুষের মধ্যে তথ্যভিত্তিক আলাপ–আলোচনা এবং গণতান্ত্রিক সমাজ কার্যকর থাকার জন্য অপরিহার্য।

আইএনএমএ/ ইনমা হলো বিশ্বের সংবাদমাধ্যমগুলোর বৃহত্তম সংগঠন। ১৯৩০ সালে প্রতিষ্ঠিত আন্তর্জাতিক সংগঠনটি বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যম শিল্পে উদ্ভাবন, পাঠকসংযোগ, ব্যবসা উন্নয়নসহ নানামুখী বিষয় নিয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের ডালাস থেকে পরিচালিত ইনমার সদস্যসংখ্যা বর্তমানে বিশ্বব্যাপী প্রায় ২২ হাজার; যেখানে ১০০টির বেশি দেশের সংবাদমাধ্যম যুক্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন

গতকাল শুক্রবার এক বিবৃতিতে ইনমা এ উদ্বেগ জানিয়েছে। বিবৃতিতে বলা হয়, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ফলে বাংলাদেশের শীর্ষস্থানীয় দুই সংবাদপত্রের বার্তাকক্ষের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে সাময়িকভাবে কার্যক্রম স্থগিত করতে বাধ্য হয়েছে তারা।

ইনমা বলেছে, হামলার সময় সাংবাদিকেরা জ্বলতে থাকা ভবনে আটকা পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। এটি শুধু সম্পত্তির ওপর নয়; বরং গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, গণতান্ত্রিক সংলাপ ও সাংবাদিকদের নিরাপত্তার ওপরও সরাসরি আঘাত। একটি শক্তিশালী ও স্বাধীন সংবাদমাধ্যম গণমানুষের মধ্যে তথ্যভিত্তিক আলাপ–আলোচনা এবং গণতান্ত্রিক সমাজ কার্যকর থাকার জন্য অপরিহার্য।

সংগঠনটি বলেছে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার অর্থ, সেটি বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। ইনমা যেকোনো হুমকিজনিত পরিস্থিতিতে তার সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে ও সহায়তা করতে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

বিবৃতিতে সংগঠনটি এ সহিংসতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রথম আলো এবং ডেইলি স্টারের সাংবাদিক, সম্পাদকবৃন্দ ও অন্যান্য কর্মীর প্রতি সংহতি প্রকাশ করেছে।

আরও পড়ুন

এ পরিস্থিতিতে ইনমা সংশ্লিষ্ট সব পক্ষ—সরকার, নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম সংশ্লিষ্ট সংগঠন ও বৈশ্বিক অংশীদারদের প্রতি তিনটি সুনির্দিষ্ট দাবি জানিয়েছে। এগুলো হলো:

১. সাংবাদিক ও বার্তাকক্ষগুলোর তাৎক্ষণিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

২. কোনো ভয়ভীতি বা সহিংসতা ছাড়াই সংবাদপত্রের স্বাধীনতার সাংবিধানিক ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড সমুন্নত রাখা।

৩. বাংলাদেশে স্বাধীন সংবাদ কার্যক্রম দ্রুত স্বাভাবিক করতে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করা।

আরও পড়ুন

বিবৃতিতে সংগঠনটি বলেছে, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে সংবাদমাধ্যমের ওপর হামলার অর্থ, সেটি বিশ্বজুড়ে সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। ইনমা যেকোনো হুমকিজনিত পরিস্থিতিতে তার সদস্যদের পাশে দাঁড়াতে ও সহায়তা করতে এবং সংবাদপত্রের স্বাধীনতা রক্ষার ক্ষেত্রে নিজের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

আরও পড়ুন