অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন

অনলাইনে ক্যাসিনো ব্যবসার মূল হোতা সেলিম প্রধান। আটকের পর গুলশান-২-এ তাঁর কার্যালয়ে
ফাইল ছবি: প্রথম আলো

জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের মামলায় অনলাইন ক্যাসিনোর মূল হোতা সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেছেন আদালত। আজ রোববার ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৬-এর বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান অভিযোগ গঠনের এ আদেশ দেন।

এদিকে আগামী ২৭ নভেম্বর মামলায় সাক্ষ্য গ্রহণের দিন ধার্য করেছেন আদালত। প্রথম আলোকে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন ওই আদালতের পেশকার মোহাম্মদ মোস্তফা।

আদালতসংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, দুপুরে অভিযোগ গঠনের ওই আদেশের আগে সেলিম প্রধানকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি নিজেকে নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার চান।

অভিযোগ গঠনের পক্ষে আদালতে যুক্তি তুলে ধরেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) পিপি মোশাররফ হোসেন কাজল। আর মামলা থেকে অব্যাহতি চেয়ে তাঁর পক্ষে আবেদন করেন আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম।

২০১৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে সেলিম প্রধানকে আটক করার পর তাঁর গুলশান ও বনানীর বাসা এবং অফিসে অভিযান চালায় র‌্যাব। ওই অভিযানে ২৯ লাখ টাকা, বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ ও বিভিন্ন দেশের মুদ্রা জব্দ করা হয়। পরে জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও অর্থ পাচারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে একই বছর ২৭ অক্টোবর মামলা করে দুদক। তদন্ত শেষে গত ১৭ জানুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেয় দুদক।

অভিযোগপত্রে সেলিম প্রধানের বিরুদ্ধে ৫৭ কোটি ৭৯ লাখ ২৮৮ টাকা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার ১৪৫ টাকা অর্থ পাচারের অভিযোগ আনা হয়।
মামলায় বলা হয়, অবৈধ উপায়ে ৪৭ লাখ ৪৬ হাজার টাকার স্থাবর ও ৫৭ কোটি ৩১ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জন ও ভোগদখল করছেন সেলিম প্রধান, যা দুদক আইনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মো. গুলশান আনোয়ার বলেন, অবৈধভাবে উপার্জিত ২১ কোটি ৯৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা থাইল্যান্ড ও যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করেছেন সেলিম, যা মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২-এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কারাগারে ডিভিশন পেয়ে আয়েশেই আছেন সেলিম প্রধান। ক্যাটাগরি-২-এর ভিআইপি বন্দী হিসেবে তাঁকে ডিভিশন দেওয়া হয়। ডিভিশন পাওয়ার পর এখন তিনি কাশিমপুর কারাগার-১-এর চতুর্থ তলায় ৪০ নম্বর কক্ষে আছেন। গ্রেপ্তার হওয়ার পর দুই বছর তিনি সাধারণ বন্দী হিসেবে ছিলেন।