অস্থায়ী পশুর হাট বসবে ২৩টি

পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে এবার কোরবানির পশুর ২৩টি অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে। এর মধ্যে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে বসবে ১৩টি এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে বসবে ১০টি পশুর হাট।

ইতিমধ্যে দুই সিটিতে হাটের ইজারা চূড়ান্ত করতে দরপত্র আহ্বান করেছে। একই সঙ্গে ২৩টি হাট বাদে উত্তর সিটি এলাকায় গাবতলী পশুর হাট ও দক্ষিণ সিটি এলাকায় সারুলিয়া পশুর হাটেও কোরবানির পশু বেচাকেনা চলবে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ জুলাই মুসলমানদের অন্যতম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীতে ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। পরে করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় উত্তর সিটিতে ১০টির পরিবর্তে ৬টি এবং দক্ষিণে ১৪টির পরিবর্তে ১১টি হাট বসায় কর্তৃপক্ষ।

করোনায় দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণে এখন পর্যন্ত চলাচলে সরকারি বিধিনিষেধ চলছে। পরিস্থিতির উন্নতি না হলে দুই সিটি করপোরেশন কোরবানির পশুর হাট ব্যবস্থাপনা নিয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

■ চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ২১ জুলাই ঈদুল আজহা উদ্‌যাপিত হবে। ■ করোনা মহামারির মধ্যেও গত বছর দুই সিটি করপোরেশন রাজধানীতে ২৪টি হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির অস্থায়ী হাটগুলো হলো উত্তর শাহজাহানপুর খিলগাঁও রেলগেট বাজার মৈত্রী সংঘের ক্লাবসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা; হাজারীবাগ এলাকায় ইনস্টিটিউট অব লেদার টেকনোলজি মাঠসংলগ্ন উন্মুক্ত এলাকা; পোস্তগোলা শ্মশানঘাটসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা; মেরাদিয়া বাজারসংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা; লিটল ফ্রেন্ডস ক্লাব–সংলগ্ন গোপীবাগ বালুর মাঠ; কমলাপুর স্টেডিয়াম–সংলগ্ন বিশ্বরোডের আশপাশের খালি জায়গা; দনিয়া কলেজ মাঠসংলগ্ন খালি জায়গা; ধূপখোলা ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা; ধোলাইখাল ট্রাক টার্মিনাল–সংলগ্ন উন্মুক্ত জায়গা; আফতাবনগর (ইস্টার্ন হাউজিং) ব্লক-ই, এফ, জি, এইচ সেকশন ১ ও ২-এর খালি জায়গা; আমুলিয়া মডেল টাউনের আশপাশের খালি জায়গা; লালবাগের রহমতগঞ্জ ক্লাব–সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গা; শ্যামপুর-কদমতলী ট্রাক স্ট্যান্ড–সংলগ্ন খালি জায়গা এবং গোলাপবাগে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মার্কেটের পেছনের খালি জায়গা।

ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, করোনা সংক্রমণসহ যেকোনো পরিস্থিতি বিবেচনায় হাটের সংখ্যা কমতেও পারে বলে জানান তিনি।

ঢাকা উত্তর সিটির অস্থায়ী হাটগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা ১৭ নম্বর সেক্টর এলাকায় অবস্থিত বৃন্দাবন থেকে উত্তর দিকে বিজিএমইএ পর্যন্ত খালি জায়গা; ভাটারা (সাইদনগর) পশুর হাট; কাওলা শিয়ালডাঙ্গাসংলগ্ন খালি জায়গা; ৪৩ নম্বর ওয়ার্ডের পূর্বাচল ব্রিজ–সংলগ্ন মস্তুল ডুমনী বাজারমুখী রাস্তার উভয় পাশের খালি জায়গা; উত্তরখান মৈনারটেক শহীদনগর হাউজিং প্রকল্পের খালি জায়গা; বাড্ডা ইস্টার্ন হাউজিং ব্লক-ই, সেকশন-৩ এর খালি জায়গা; উত্তরা ১৫ নম্বর সেক্টরের ১ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমের অংশ; ২ নম্বর ব্রিজের পশ্চিমে গোলচত্বর পর্যন্ত সড়কের ফাঁকা জায়গা; মিরপুর সেকশন-৬ ইস্টার্ন হাউজিংয়ের খালি জায়গা এবং ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের খেলার মাঠ।

ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, করোনা সংক্রমণ বিবেচনায় গত বছর বাইরে পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। এবার করোনা পরিস্থিতি উন্নতি না হলে হাটব্যবস্থার বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।