আজও টিকিট না পেয়ে লাইনেই রয়ে গেলেন কয়েক শ নারী-পুরুষ

কমলাপুর রেলস্টেশনে মোট ১০টি কাউন্টার থেকে টিকিট বিক্রি করা হচ্ছে। তার মধ্যে ৯টি কাউন্টার থেকে পুরুষদের টিকিট দেওয়া হচ্ছে আর ১টি কাউন্টার থেকে দেওয়া হচ্ছে নারীদের টিকিট। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা, ৩ জুলাই
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

ঈদে অগ্রিম টিকিট বিক্রির তৃতীয় দিন আজ রোববারও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে ঘণ্টার পর ঘণ্টা অপেক্ষার পর টিকিট না পেয়ে কাল সোমবারের জন্য লাইনে দাঁড়িয়েছেন কয়েক শ নারী-পুরুষ।

আজ সকাল ৮টায় টিকিট বিক্রি শুরুর পর সকাল ১০টা থেকে বেলা ১১টার মধ্যে পুরুষদের এবং দুপুর ১২টার মধ্যে নারীদের কাউন্টারে টিকিট বিক্রি শেষ হয়। তারপরই তাঁরা কালকের টিকিটের জন্য লাইনে অবস্থান নেন।

ঈদে বাড়ি যাওয়ার জন্য ট্রেনে অগ্রিম টিকিট কিনতে মানুষের ভিড়। দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে সংগ্রহ করছেন ট্রেনের টিকেট। কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন, ঢাকা, ৩ জুলাই
ছবি: তানভীর আহাম্মেদ

এর আগে গতকাল শনিবারও টিকিট বিক্রি শেষ হওয়ার পরই কয়েক শ টিকিটপ্রত্যাশী লাইনে অবস্থান করেন পরদিনের টিকিটের আশায়। দেখা যায়, গতকাল ও আজ সকালে ট্রেনের টিকিটের জন্য কমলাপুর স্টেশনে লাইনে দাঁড়ান কয়েক হাজার মানুষ। দুপুর ১২টার মধ্যে সব টিকিট বিক্রি শেষ হলেও অনেকেই টিকিট পাননি।

টিকিট না পেয়ে অনেকেই ফিরে যান এবং অনেকে কালকের টিকিটের জন্য লাইনে থেকে যান। আজ থেকে যাওয়াদের মধ্যে কয়েকজনকে সময় কাটানোর জন্য তাস খেলতেও দেখা যায়।

ঢাকায় পড়াশোনা করছেন পঞ্চগড়ের আরিফুর রহমান। ঈদে গ্রামে যাবেন। তিনি কমলাপুর স্টেশনে গত শুক্রবার রাতে আসেন টিকিট কাটতে। না পেয়ে গতকালও রাত কাটান স্টেশনেই। কিন্তু আজও তিনি টিকিট পাননি। কাল টিকিট পাবেন বলে আশাবাদী তিনি।

বেলা পৌনে একটার দিকে দেখা যায়, নারীদের লাইনে ৩৫ জন রয়েছেন। তাঁরা কালকের টিকিটের জন্য আজকে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক নারী বলেন, ‘আজ ভোররাত চারটায় এসেছিলাম। কিন্তু টিকিট পাইনি। এখন চলে গেলে কালকে এলে টিকিট পাব না। মাঝখান থেকে কষ্ট হবে। তাই কাল টিকিট নিয়ে একবারে যাব বলে রয়ে গেলাম।’