ইজারা বাতিল করে সেবা দিতে হবে

চলছে পরিষ্কার–পরিচ্ছন্নতার কাজ। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের একটি গণশৌচাগার এটি
ফাইল ছবি প্রথম আলো

গণশৌচাগার কার্যক্রমে ‘ইজারা’ পদ্ধতি বাতিল করতে হবে। এর পরিবর্তে  ‘সেবা দানকারী’ পদ্ধতি শুরু করা প্রয়োজন। কারণ, ইজারা দিলে লাভের বিষয় থাকে। তখন মানুষ সেবা থেকে বঞ্চিত হয়।

স্বাস্থ্যসম্মত গণশৌচাগার প্রতিষ্ঠা ও পরিচালনার ক্ষেত্রে ঢাকা উত্তর সিটির পরিকল্পনায় এসব বিষয় বিবেচনায় আনার অনুরোধ জানিয়েছেন বেসরকারি সংস্থা দুস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) কর্মকর্তারা। বিশ্ব টয়লেট দিবস-২০২১ উপলক্ষে আয়োজিত এক সভায় সংস্থাটির কর্মকর্তারা এ প্রস্তাবনা দেন। আজ বৃহস্পতিবার মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডের গণশৌচাগারসংলগ্ন এলাকায় সভার আয়োজন করা হয়।

ডিএসকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত একটি গণশৌচাগার। সেখানে রয়েছে প্রতিবন্ধীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা। গাবতলী
ছবি: সংগৃহীত

সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলেন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ওয়াটারএইড বাংলাদেশ ১৭টি গণশৌচাগার নির্মাণ করেছে। এর মধ্যে ৭টি শৌচাগার ডিএসকের ইমপ্রুভিং পাবলিক হেলথ, স্যানিটেশন প্রকল্পের আওতায় পরিচালিত হচ্ছে। এতে স্থানীয় সরকারের সিটি করপোরেশন আইন অনুযায়ী পুরুষ ও নারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন পৃথক পায়খানা ও প্রস্রাবখানা ব্যবহারের সুযোগ পাচ্ছে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সেলিম রেজা। তিনি বলেন, ডিএনসিসি এলাকায় ৯০টি শৌচাগার নির্মাণের প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। কিন্তু শহরে জায়গা পাওয়া যাচ্ছে না। জায়গার ব্যবস্থা করতে কাউন্সিলরদের বলা হয়েছে। প্রতিটি পাড়া-মহল্লায় শৌচাগার নির্মাণ করা হবে। বাংলাদেশকে একটি আদর্শ রাষ্ট্রে পরিণত করতে, শিশুদের মাদক, জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসমুক্ত রাখতে হবে বলেও তিনি জানান।

বিশ্ব টয়লেট দিবস-২০২১ উপলক্ষে দুঃস্থ স্বাস্থ্য কেন্দ্রের (ডিএসকে) আলোচনা সভা
ছবি: প্রথম আলো

দেশের ৬১ শতাংশ জনগণ এখনো নিরাপদ স্বাস্থ্যসম্মত শৌচাগারের বাইরে আছে জানিয়ে সভার মূল প্রবন্ধে বলা হয়, ঢাকা উত্তর সিটিতে ৬৩টি গণশৌচাগার আছে। দুই সিটি মিলিয়ে আছে প্রায় ১০০টি। এ ছাড়া আরও ১০০টি শৌচাগার নির্মাণাধীন। অথচ ঢাকায় প্রায় ১ হাজার শৌচাগার প্রয়োজন। কারণ, দুই কোটির বেশি জনসংখ্যার এ শহরে প্রতিদিন প্রায় দুই লাখের বেশি মানুষ যাতায়াত করে থাকে।

‘টয়লেটের মূল্যায়ন’ প্রতিপাদ্যে আয়োজিত সভায় ডিএসকের ওয়াশ প্রকল্পের পরিচালক এম এ হাকিমের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. জোবায়দুর রহমান, ডিএনসিসি অঞ্চল ৪-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা আবেদ আলী, ওয়াটারএইড বাংলাদেশের পরিচালক হোসেন ইশরাত আদিব, প্রকল্প ব্যবস্থাপক শিউলী আক্তার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।