ইভ্যালির রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ

মো. রাসেল
ফাইল ছবি

এবার ধানমন্ডি থানার আরেক মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেলকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ধানমন্ডি থানা-পুলিশের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ বৃহস্পতিবার এ আদেশ দেন।

প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন রাসেলের আইনজীবী মনিরুজ্জামান আসাদ। তিনি জানান, ‘এখন পর্যন্ত রাসেলের বিরুদ্ধে রাজধানীর গুলশান থানায় একটি এবং ধানমন্ডি থানায় দুটি মামলা হয়েছে। এর বাইরে বুধবার ঢাকার সিএমএম আদালতেও একজন গ্রাহক মামলা করেছেন বলে জানতে পেরেছি। ধানমন্ডি থানার দ্বিতীয় মামলাটি হয় ২১ সেপ্টেম্বর। আবদুর রহমান নামের এক গ্রাহক মামলাটি করেন। তাঁর অভিযোগ, তিনি দুটি মোটরসাইকেল কেনার জন্য ইভ্যালিকে টাকা দেন। কিন্তু নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য বা টাকা কোনোটিই তিনি পাননি।’

ধানমন্ডি থানায় ১৯ সেপ্টেম্বর করা মামলায় এক দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রাসেলকে আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর তাঁকে ধানমন্ডির অপর মামলায় আরও পাঁচ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে রাসেলকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন নাকচ করেন। তবে রাসেলকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার নির্দেশ দেন আদালত।

প্রতারণার মাধ্যমে গ্রাহকের টাকা আত্মসাতের অভিযোগে রাসেল ও তাঁর স্ত্রী শামীমার বিরুদ্ধে ১৫ সেপ্টেম্বর গুলশান থানায় প্রথম মামলাটি করেন আরিফ বাকের নামের এক গ্রাহক। পরের দিন তাঁদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। পরে গুলশান থানার মামলায় রাসেল ও শামীমাকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।

গুলশানে মামলাটি করেন মুজাহিদুর রহমান নামের এক গ্রাহক। মামলায় তিনি দাবি করেছেন, ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের দুই টন এসি কেনার জন্য টাকা দিলেও ইভ্যালি তা দেয়নি।

আর ধানমন্ডি থানার ১৯ সেপ্টেম্বর করা মামলার বাদী কামরুল ইসলাম চোকদার দাবি করেন, চারটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে তিনি ৩৫ লাখ ৮৫ হাজার ৫৪২ টাকার পণ্য ইভ্যালিতে সরবরাহ করেন। কিন্তু ইভ্যালি এসব পণ্যের অর্থ পরিশোধ করেনি।

রাসেলকে গ্রেপ্তার করার পর র‍্যাবের পক্ষ থেকে বলা হয়, গ্রাহক ও সরবরাহকারীদের কাছে ইভ্যালির দেনা বেড়েছে এক হাজার কোটি টাকা। জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানান, গত ফেব্রুয়ারিতেও এই দেনার পরিমাণ ছিল ৪০৩ কোটি টাকা। গ্রাহকের এই টাকা কীভাবে ফেরত দেওয়া হবে, র‍্যাবের জিজ্ঞাসাবাদে এর কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি তিনি। সর্বশেষ দায় মেটাতে ব্যর্থ হলে ইভ্যালিকে দেউলিয়া ঘোষণার পরিকল্পনাও ছিল রাসেলের।