ইয়াবা চালানের টাকা নিতে ঢাকায় উড়োজাহাজে আসেন তাঁরা

ইয়াবা বড়ি
ফাইল ছবি

কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলা থেকে বাহকের মাধ্যমে ঢাকায় আসত ইয়াবা বড়ির চালান। পরে সেই ইয়াবা রাজধানীতে বিক্রির জন্য ছড়িয়ে দিতেন এক নারী। ইয়াবা কারবারের সঙ্গে জড়িত এ চক্রের তিন হোতাসহ সন্দেহভাজন ছয় সদস্যকে আটক করেছে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর (ডিএনসি)।

গতকাল বুধবার রাত থেকে আজ বৃহস্পতিবার সকাল পর্যন্ত রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ওই ছয়জনকে আটক করা হয়। প্রথম আলোকে এসব তথ্য দিয়েছেন অভিযান পরিচালনার সঙ্গে যুক্ত ডিএনসির ঢাকা মহানগর উত্তরের সহকারী পরিচালক মো. মেহেদী হাসান।

আটক ব্যক্তিরা হলেন ইব্রাহিম (২৮), ইয়াকুব (২৯), শামসুর আলম (৩০), তানভির মাহমুদ (৪৭), রবিন (৩২) ও জবা আক্তার (২৭)। তাঁদের মধ্যে ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুরের বাড়ি টেকনাফে। ইয়াবার চালান ঢাকায় পাঠানোর পর বিক্রির টাকা নিতে উড়োজাহাজে আসেন তাঁরা।

মেহেদী হাসান বলেন, প্রথমে তানভির ও রবিনকে রাজধানীর ভাটারা থেকে ৮০০ ইয়াবা বড়িসহ আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে তাঁরা টেকনাফে ইয়াবা কারবার চক্রের সঙ্গে জড়িত তিনজনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁরা ঢাকায় অবস্থান করছেন বলে জানান।

জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে রাজধানীর কাফরুল থানার পূর্ব শেওড়াপাড়ায় অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিম, ইয়াকুব, শামসুর ও জবাকে আটক করা হয়। তাঁদের কাছ থেকে ৪০ হাজার ইয়াবা জব্দ করা হয়। ওই চালান বুধবার রাতে টেকনাফ থেকে ঢাকায় এসেছে।

বাহকের মাধ্যমে টেকনাফ থেকে ইব্রাহিম, ইয়াকুব ও শামসুর ঢাকায় ইয়াবার চালান পাঠাতেন জানিয়ে মেহেদী হাসান বলেন, তাঁরা টেকনাফের শীর্ষ ইয়াবা কারবারি। প্রতিটি চালানে বাহককে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হতো। পরে তাঁরা ইয়াবা বিক্রির টাকা নিতে উড়োজাহাজে ঢাকায় আসতেন।

এদিকে জবা তাঁর বাসা থেকে চক্রের অন্য সদস্যের হাতে বিক্রির জন্য ইয়াবা তুলে দিতেন বলে জানান মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের ওই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, পূর্ব শেওড়াপাড়ায় জবার নামে তিনটি বাসা ভাড়া নেওয়া আছে। সেখানে মাদকের চালান আসে। বাসাগুলো দামি আসবাবে সাজানো। দেখলে মনেই হবে না মাদক ব্যবসায়ী। আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানান তিনি।