উদ্বোধনের অপেক্ষায় শ্যামলীর টিবি হাসপাতাল

সবকিছুই প্রায় প্রস্তুত। হাসপাতালের খালি বিছানাগুলো অপেক্ষা করছে রোগীদের জন্য। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালটি দেড় বছর আগে তৈরি হয়। কিন্তু উদ্বোধনের জন্য অন্তর্বিভাগ (ইনডোর) চালু হচ্ছে না।

গত ২০ জুলাই প্রথম আলোয় ‘সাইনবোর্ডে ২৫০ শয্যা, বাস্তবে নেই’ নামে একটি প্রতিবেদন ছাপা হয়। সেখানে উল্লেখ ছিল, হাসপাতাল চালু করার জন্য প্রয়োজনীয় অর্থ ও জিনিসপত্র নেই। গতকাল রোববার হাসপাতালটিতে গিয়ে দেখা যায়, প্রায় সবকিছুই প্রস্তুত। অপেক্ষা শুধু উদ্বোধনের।

সাইনবোর্ডে ২৫০ শয্যার কথা বলা হলেও এখন ১৫০ শয্যা চালু হওয়ার কথা। নতুন ভবনে কার্যক্রম তেমন চলে না। বহির্বিভাগটি পুরোনো ভবনেই আছে। সকাল আটটা থেকে বেলা আড়াইটা পর্যন্ত এখানে রোগী দেখা হয়। এরপর বন্ধ থাকে। প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৫০ জন রোগী চিকিৎসা নেয়।

বানু বিবি মোহাম্মদপুর থেকে মেয়েকে নিয়ে এসেছেন। মেয়ের কাশি কমছে না। এক চিকিৎসকের পরামর্শে তিনি রক্ত পরীক্ষা করাতে এসেছেন। তিনি বলেন, ‘টিকেট কাটার সময়ই বলছি রক্ত পরীক্ষা করব। টিকেটও দিছে। কিন্তু ভেতরে যাওয়ার পর বলে এই পরীক্ষা হবে না।’ বানু বলেন, টিকিট কাটার সময়েই কাউন্টার থেকে বলতে পারত। তিনি টাকা ফেরত চাইলেও দেওয়া হয়নি।

হাসপাতালের প্রকল্প পরিচালক ছুটিতে থাকায় কথা হয় দায়িত্বে থাকা জাকির হোসাইনের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘রক্তের বিভিন্ন পরীক্ষা আছে। সব এখানে হয় না।’ টাকা ফেরত দেওয়ার ব্যাপারে বলেন, ১০ টাকার টিকিট একবার কাটা হয়ে গেছে, তাই ফেরত দেওয়ার সুযোগ নেই। হাসপাতালের কার্যক্রম চালু হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গ্যাসের সংযোগ ও বিছানা পাওয়াসহ কিছু সমস্যা ছিল। এখন তা নেই। মোটামুটি সবই প্রস্তুত। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধন করার কথা। তাই আগামী মাসের শুরুর দিকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে হাসপাতাল দেখে যাবে। এরপরই উদ্বোধন হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

অন্তর্বিভাগ চালু হলে সব ধরনের চিকিৎসা-সুবিধা প্রসঙ্গে হাসপাতালের সিনিয়র কনসালটেন্ট আসাদুর রহমান বলেন, ‘এখানে সবই আছে। এমডিআর টিবির (মাল্টি ড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট) চিকিৎসাও চালু হবে।’ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হাসপাতাল ও ক্লিনিক শাখার পরিচালক এ কে এম সাইদুর রহমান উদ্বোধন প্রসঙ্গে বলেন, ‘প্রসেস চলছে। শিগগিরই চালু হবে।’ শ্যামলীর এই হাসপাতালে বর্তমানে ১৫ জন মেডিকেল অফিসার ও কনসালটেন্ট আছেন। নার্স আছেন ১২ জন। ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট টিবি হাসপাতালটি আগে টিবি ক্লিনিক নামে পরিচিত ছিল।