একুশের চেতনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) আজ জাতীয় প্রেসক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে
ছবি: প্রথম আলো

দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে দেশের গণতন্ত্র পিষ্ট। এভাবে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয়। একুশের চেতনায় দেশে আবার গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।

আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আজ শনিবার বেলা ১২টার দিকে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন। ‘২১–এর চেতনায় স্বৈরাচার পতন ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা’ শীর্ষক এ সভার আয়োজন করে জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা)।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেন, বর্তমানে মুক্তিযুদ্ধের সব অর্জন ধ্বংস করা হচ্ছে দেখে কষ্ট হয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা নষ্ট হতে দেখে খারাপ লাগে। গণতন্ত্র, সাম্য, বৈষম্য, শান্তি, শৃঙ্খলা নষ্ট হয়েছে।

জিয়ার খেতাব প্রসঙ্গে নজরুল ইসলাম বলেন, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিলের সভায় বসে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় জিয়ার খেতাব বাতিলের। এটা কি তাদের কাজ নাকি? খেতাব তো তারা দেয় না। এটা তো তাদের এখতিয়ারবহির্ভূত। আল–জাজিরার প্রতিবেদনের দৃষ্টি সরাতেই এসব করা হচ্ছে।

সভাপতির বক্তব্যে জাগপা সভাপতি খন্দকার লুৎফুর রহমান বলেন, একুশের চেতনা থেকে শিক্ষা নিয়ে হারিয়ে যাওয়া গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনতে হবে। এই স্বৈরতন্ত্রের পতন নিশ্চিত করতে হবে অতিসত্বর।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লা আমান বলেন, একদলীয় শাসনের যাঁতাকলে দেশের মানুষ। মানুষের কথা বলার স্বাধীনতা নেই। সাংবাদিকদের স্বাধীনতা নেই। তিনি বলেন, একুশ মানে মাথা নত না করা। সেই চেতনায় দেশে একটা গণ–অভ্যুত্থান করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হয়ে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। একটা গণ–আন্দোলন করার প্রতিশ্রুতি নিতে হবে।

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, দেশে নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে। প্রচলিত ধারার এ নির্বাচন কোনোভাবে জনগণের কল্যাণ বয়ে আনবে না। এভাবে পরিস্থিতি বদলানো সম্ভব নয়। এই স্বৈরশাসনের অবসান ঘটাতে হবে। একুশের চেতনায় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে।