ওয়াসার অদক্ষতায় পানির দাম বাড়ে

চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা ওয়াসার পানির দামের তুলনায় ঢাকা ওয়াসার পানির দাম প্রায় দ্বিগুণ।

  • আগামী ১ জুলাই থেকে পানির দাম ২০% বাড়ানোর প্রস্তাব।

  • গত ১৩ বছরে ১৪ বার পানির দাম বাড়ানো হয়েছে।

  • ঢাকায় পানির দৈনিক চাহিদা কমবেশি ২৫০ কোটি লিটার।

দিনে ঢাকা ওয়াসা যত পানি উৎপাদন করে, তার ২০ ভাগ গ্রাহক পর্যন্ত পৌঁছায় না। এই বিষয়টি কাগজে-কলমে ওয়াসায় ‘সিস্টেম লস’ (কারিগরি অপচয়) হিসেবে পরিচিত। শুধু এ অপচয় কমাতে পারলেই বছর বছর ওয়াসাকে পানির দাম বাড়াতে হতো না।

বর্তমানে ঢাকায় পানির দৈনিক চাহিদা কমবেশি ২৫০ কোটি লিটার। এর বিপরীতে ঢাকা ওয়াসা দৈনিক ২৬০ কোটি লিটার পানি উৎপাদন করার দাবি করে। ওয়াসার তথ্য অনুযায়ী, সিস্টেম লস ২০ শতাংশ বাদ দিলে প্রতিদিন ৫২ কোটি লিটার পানি গ্রাহক পর্যন্ত যায় না। গ্রাহক পান ২০৮ কোটি লিটার। ফলে পানির ঘাটতি থাকছে।

ঢাকা ওয়াসা গত অর্থবছরে পানির বিল আদায় করেছে ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা। সে হিসাবে ২০ শতাংশ সিস্টেম লসের আর্থিক পরিমাণ ২৪০ কোটি টাকার বেশি। এখন ওয়াসা ২০ শতাংশ পানির দাম বাড়াতে চাইছে আগামী ১ জুলাই থেকে। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা নাগরিক সংগঠন এবং নগরবিদেরা বলছেন, কোনো প্রতিষ্ঠানে ৫ শতাংশের বেশি সিস্টেম লস অদক্ষতা ও অব্যবস্থাপনার বড় প্রমাণ। ওয়াসা নিজেদের অব্যবস্থাপনা ও অনিয়মের দায় জনগণের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে। সংস্থাটি সিস্টেম লসের যে কথা বলছে, তার অধিকাংশ আসলে ‘চুরি’। ওয়াসার অসাধু কর্মকর্তা–কর্মচারীরা পানির অবৈধ সংযোগের মাধ্যমে টাকা নেয়। এসব বন্ধ করা দরকার।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, সরবরাহ লাইনে ত্রুটি ও অবৈধ সংযোগ সিস্টেম লসের বড় কারণ। সিস্টেম লস কমাতে পুরো ঢাকাকে ডিস্ট্রিক্ট মিটার এরিয়ার (ডিএমএ) আওতায় আনার উদ্যোগ নিয়েছে ওয়াসা। কিন্তু প্রকল্পের গতি ধীর হওয়ায় অগ্রগতি কম। ডিএমএ চালু হলে কত পানি উৎপাদিত হচ্ছে, কতটা ব্যবহৃত হচ্ছে, স্বয়ংক্রিয়ভাবে সে হিসাব পাওয়া যাবে। এতে দুর্নীতি কমবে।

২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর গত ১৩ বছরে ১৪ বার ঢাকা ওয়াসা পানির দাম বাড়িয়েছে। করোনা মহামারির মধ্যেও ঢাকা ওয়াসা গত দুই বছরে পানির দাম ৩১ শতাংশ বাড়িয়েছে। এখন আরেক দফা পানির দাম বাড়াতে নানা যুক্তি তুলে ধরছে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ। তবে সিস্টেম লসের বিষয়টিকে সামনে আনছে না ওয়াসা।

আরও পড়ুন

৯ ফেব্রুয়ারি ওয়াসা ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক তাকসিম এ খান বলেন, ওয়াসার পানির উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে ব্যবধান অনেক। প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে সরকারকে ভর্তুকি দিতে হচ্ছে ১০ টাকা। সরকারের কাছ থেকে ভিক্ষা নিয়ে কোনো সংস্থা নিজের পায়ে দাঁড়াতে পারে না। পানির দাম বাড়িয়ে নিজের পায়ে দাঁড়াতে হবে ওয়াসাকে।

যে পানি ঠিকমতো পান করা যায় না সেই পানির দাম প্রতি বছর বাড়ানো হচ্ছে। মানুষ এখন ভয়ে প্রতিবাদ করে না। তাই ব্যয়ের বোঝা মানুষের ওপর সহজেই চাপিয়ে দেওয়া যাচ্ছে।
মিজানুর রহমান, রাজধানীর জুরাইনের বাসিন্দা

ঢাকা ওয়াসার ২০২০-২১ অর্থবছরের নিরীক্ষা প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, শুধু পানি ও সুয়ারেজ বিল বাবদ ঢাকা ওয়াসার রাজস্ব আদায় হয়েছে ১ হাজার ৫৯২ কোটি টাকার। এর মধ্যে পানির বিল বাবদ আয় ১ হাজার ২০১ কোটি টাকা। বাকিটা সুয়ারেজ বিল বাবদ আয়। ট্যাক্সসহ অন্যান্য সব খরচ বাদ দিয়ে ২০২০-২১ অর্থবছরে ঢাকা ওয়াসার লাভ হয়েছে ৪৯ কোটি ৬৪ লাখ টাকা। বছর শেষে ঢাকা ওয়াসার সঞ্চিত মুনাফার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৮৯২ কোটি টাকা।

সরকারের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান লাভে থাকার পরও পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবকে অযৌক্তিক বলে মনে করছেন নগরবিদদের সংগঠন বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব প্ল্যানার্সের সাবেক সভাপতি অধ্যাপক আকতার মাহমুদ। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, এমডির ভিক্ষা করে চলা বক্তব্যের সঙ্গে আর্থিক প্রতিবেদনের মিল নেই। তাঁরা নিজেদের সুযোগ-সুবিধা বাড়াতে পানির দাম বাড়িয়ে জনগণকে দুর্ভোগে ফেলছেন।

পানির উৎপাদন খরচ আসলে কত

৯ ফেব্রুয়ারি ওয়াসা ভবনে আয়োজিত অনুষ্ঠানে ওয়াসার এমডি তাকসিম এ খান বলেন, পানির উৎপাদন ব্যয় ও বিক্রয়মূল্যের মধ্যে অনেক ব্যবধান। প্রতি এক হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ গড়ে ২৫ টাকা। বিক্রি করা হচ্ছে ১৫ টাকায়।

তবে ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পানির উৎপাদন খরচের যে তথ্য ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ দিচ্ছে, তা বাস্তবসম্মত নয়। ২৫ টাকা উৎপাদন খরচ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পরিশোধন করা পানির। বর্তমানে ঢাকা ওয়াসার সরবরাহ করা পানির ৬৫ ভাগই গভীর নলকূপ বা ভূগর্ভস্থ উৎসের। বাকি ৩৫ শতাংশ ভূ-উপরিস্থ উৎস থেকে পরিশোধন করা।

আরও পড়ুন

৯ ফেব্রুয়ারির ওই অনুষ্ঠানে ভূগর্ভস্থ এবং ভূ-উপরিস্থ দুই উৎসের পানির গড় উৎপাদন খরচ কত, সেটি জানতে চাওয়া হয় তাকসিম এ খানের কাছে। তিনি বলেন, এটি জটিল হিসাব। তবে দুই উৎস মিলিয়ে প্রতি এক হাজার লিটার পানির উৎপাদন খরচ ২১ থেকে ২২ টাকার মতো।

তবে ওয়াসার কর্মকর্তারা বলছেন, গভীর নলকূপের পানির উৎপাদন খরচ কম। ভূগর্ভস্থ এবং ভূ-উপরিস্থ দুই উৎসের গড় উৎপাদন খরচ ২০ টাকার কম। সে হিসাবে প্রতি এক হাজার লিটার পানিতে ১০ টাকা ভর্তুকির বিষয়টি সঠিক নয়।

ঢাকা ওয়াসার পানির দামই সবচেয়ে বেশি

চট্টগ্রাম, রাজশাহী ও খুলনা ওয়াসার পানির দামের সঙ্গে তুলনা করলে ঢাকা ওয়াসার পানির দাম প্রায় দ্বিগুণ। ঢাকা ওয়াসার প্রতি ইউনিট (এক হাজার লিটার) পানির বর্তমান দাম আবাসিকে ১৫ দশমিক ১৮ টাকা আর বাণিজ্যিকে ৪২ টাকা। খুলনা ওয়াসার আবাসিকে প্রতি ইউনিট পানির দাম ৮ দশমিক ৯৮ টাকা আর বাণিজ্যিকে ১৪ টাকা। চট্টগ্রাম ওয়াসার আবাসিকে ১৩ দশমিক শূন্য ২ টাকা আর বাণিজ্যিকে ৩১ দশমিক ৮২ টাকা।

রাজশাহী ওয়াসার আবাসিকের দর ৬ দশমিক ৮১ টাকা, বাণিজ্যিকে ১৩ দশমিক ৬২ টাকা। রাজশাহী ওয়াসার প্রায় শতভাগ পানি গভীর নলকূপ থেকে উৎপাদন করা হয়। রাজশাহী ওয়াসা সূত্রে জানা যায়, প্রতি ইউনিট পানির উৎপাদন খরচ ৯ টাকার কাছাকাছি।

ঢাকা ওয়াসা প্রতি বছর দাম বাড়িয়ে চললেও এই পানি না ফুটিয়ে বা পরিশোধন না করে পান করা যায় না। ওয়াসার পানির মান কেমন তা এই সংস্থার এমডিকে বুঝাতে ২০১৯ সালের ২৩ এপ্রিল কাচের জগ ও বোতলে পানি, গ্লাস, লেবু ও চিনির প্যাকেট নিয়ে ওয়াসা ভবনের সামনে পরিবারসহ এসেছিলেন রাজধানীর জুরাইন এলাকার বাসিন্দা মিজানুর রহমান। তবে সেদিন তিনি এমডির দেখা পাননি। এবার নতুন করে পানির দাম বাড়ানোর প্রস্তাবের বিষয়ে মিজানুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘যে পানি ঠিকমতো পান করা যায় না সেই পানির দাম প্রতি বছর বাড়ানো হচ্ছে। আগে পানির মান ঠিক করার বিষয়ে মনোযোগ দেওয়া উচিত ওয়াসার। মানুষ এখন ভয়ে প্রতিবাদ করে না। তাই ব্যয়ের বোঝা মানুষের ওপর সহজেই চাপিয়ে দেওয়া যাচ্ছে।’

ঢাকা ওয়াসার অনিয়ম-দুর্নীতি ও গ্রাহকসেবার বিভিন্ন ঘাটতির দিক নিয়ে ২০১৯ সালে ‘ঢাকা ওয়াসা: সুশাসনের চ্যালেঞ্জ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। তাতে বলা হয়, ঢাকা ওয়াসা পাইপলাইনের মাধ্যমে সুপেয় পানি সরবরাহ করতে ব্যর্থ। ৯১ শতাংশ গ্রাহক খাবার পানি ফুটিয়ে পান করেন। পানি ফুটিয়ে পানের উপযোগী করতে বছরে ৩২২ কোটি টাকার গ্যাস খরচ হয়।

ঋণের টাকায় প্রকল্প, সুফল মিলছে না

ঢাকা ওয়াসার প্রকল্প বাস্তবায়নের ধীরগতির কারণে সংস্থাটির ব্যয় বাড়ছে। অধিকাংশ প্রকল্প বৈদেশিক ঋণের টাকায় করা হচ্ছে। এসব ঋণের দায় চাপছে জনগণের ঘাড়ে। অন্যদিকে ঋণের টাকায় করা এসব প্রকল্পের সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাচ্ছে না। পদ্মা নদীর পানি রাজধানীতে সরবরাহ করতে ৩ হাজার ৬৭০ কোটি টাকা ব্যয়ে শোধনাগার নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু শোধনাগার থেকে পানি রাজধানীতে আনার সরবরাহ লাইন এখনো স্থাপন করতে পারেনি সংস্থাটি। যে কারণে শোধনাগারের সক্ষমতার প্রায় ৫০ শতাংশই দুই বছরের বেশি সময় ধরে অব্যবহৃত থাকছে।

পদ্মা-যশলদিয়া শোধনাগার প্রকল্পে আড়াই হাজার কোটি টাকা ঋণ দিয়েছে চীন সরকার। ঢাকা ওয়াসার একজন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন, পানি সরবরাহ প্রকল্পে যার যার কমিশন সবাই পেয়ে গেছে। কিন্তু ঋণের কিস্তি তো জনগণের টাকায় পরিশোধ করা হচ্ছে।

কর্মীদের বিশেষ প্রণোদনা, এমডির বেতন নিয়ে প্রশ্ন

২০০৯ সালের অক্টোবরে তাকসিম এ খান ওয়াসার এমডি হিসেবে নিয়োগ পেয়েছিলেন। এরপর থেকে তাঁর বেতন-ভাতা বেড়েছে ৪২১ শতাংশ। বর্তমানে তাঁর বেতন-ভাতা মাসে ৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা। যে সংস্থাকে ভিক্ষা করে চলতে হয়, সেই সংস্থার এমডির বেতন-ভাতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন খোদ ওয়াসার কর্মীরাই।

ওয়াসার একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, রাজউক, পেট্রোবাংলা, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম করপোরেশনের প্রধান কর্মকর্তারা অতিরিক্ত সচিব পদমর্যাদার। এসব সংস্থার গুরুত্ব ও পরিচালনা কোনো অংশেই ঢাকা ওয়াসা থেকে কম নয়। একজন অতিরিক্ত সচিবের মাসিক বেতন–ভাতা এক লাখ টাকার কাছাকাছি। আর ঢাকা ওয়াসার এমডির পদে একজন অতিরিক্ত সচিবকে নিয়োগ দেওয়া হলে বছরে অন্তত ৭০ লাখ টাকা সাশ্রয় সম্ভব।

গত বছর ঢাকা ওয়াসার স্থায়ী, চুক্তিভিত্তিক ও প্রেষণে নিয়োগ করা সব কর্মকর্তা ও কর্মচারীর চারটি মূল বেতনের সমপরিমাণ অর্থ বিশেষ পুরস্কার হিসেবে দেওয়া হয়। প্রতিবছরই কর্মীদের এমন বিশেষ প্রণোদনা দিচ্ছে ঢাকা ওয়াসা। ভর্তুকি নিয়ে চলা একটি সংস্থার কর্মীদের বছরে চারটি প্রণোদনার বিষয়টি নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।

দুদকের সুপারিশ আমলে নেওয়া হয়নি

দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১৯ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনে ঢাকা ওয়াসার ১১টি খাতে অনিয়ম-দুর্নীতির উৎস চিহ্নিত করেছে। দুদকের প্রাতিষ্ঠানিক দল তদন্ত করে এ প্রতিবেদন তৈরি করে। এতে বলা হয়, ওয়াসার প্রকল্পগুলো নির্ধারিত সময়ে শেষ হয় না, নকশা অনুযায়ী কাজ না করা এবং প্রকল্পের মেয়াদ ও ব্যয় অস্বাভাবিক বৃদ্ধিসহ নানা অনিয়ম-দুর্নীতি হচ্ছে। এসব কাজের সঙ্গে প্রকল্প পরিচালকসহ প্রকল্প বাস্তবায়ন–সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী এবং ওয়াসার ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ জড়িত থাকছে।

দুদকের প্রতিবেদনে ওয়াসার প্রকল্পে পরামর্শক ও ঠিকাদার নির্বাচনের ক্ষেত্রেও দুর্নীতির কথা উঠে এসেছে। ওয়াসার চলমান প্রকল্পের অনিয়ম, দুর্নীতি ও অর্থ অপচয় রোধে তদারকি দল গঠনসহ ১২ দফা সুপারিশ করে দুদক। তবে এসব সুপারিশ আমলে নেয়নি ঢাকা ওয়াসা কর্তৃপক্ষ।

ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) সভাপতি গোলাম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ঢাকা ওয়াসা সুপেয় ও নিরাপদ পানি সরবরাহ করতে অনেক ক্ষেত্রেই ব্যর্থ হচ্ছে। নিজেদের অব্যবস্থাপনা, দুর্নীতি ও অমিতব্যয়িতার দায় জনগণের ঘাড়ে চাপাতে চাইছে সংস্থাটি। প্রকল্প বাস্তবায়নে দীর্ঘসূত্রতা এবং বর্ধিত ব্যয়ের দায়ভার ওয়াসার শীর্ষ কর্তাব্যক্তিদের ওপরই বর্তায়। তাঁদের জবাবদিহির আওতায় আনা প্রয়োজন।