কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ঢাবির এসএম হলে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে (এসএম হল) একটি কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে হল শাখা ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া, ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতির ঘটনায় উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল রোববার দিবাগত রাত ১০টা থেকে ১২টা পর্যন্ত প্রায় দুই ঘণ্টা ওই উত্তেজনা চলে।

এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার ও সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকারের অনুসারী শতাধিক শিক্ষার্থী রোববার রাত ১০টার দিকে হলের পূর্ব অংশের দোতলার ২২ নম্বর কক্ষের সামনে গিয়ে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে তাঁদের মধ্যে ধাক্কাধাক্কি ও হাতাহাতি শুরু হয়। পরে রাত ১২টার দিকে তানভীর ও মিশাত ঘটনাস্থলে গিয়ে তাঁদের সমর্থকদের শান্ত করেন।

হল শাখা ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস ও জালিয়াতির অভিযোগে ২০২০ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আজীবন বহিষ্কৃত সাবেক ছাত্রলীগ নেতা মাসুদ রানা এসএম হলের ২২ নম্বর কক্ষে অবৈধভাবে থাকতেন। সম্প্রতি তিনি হল ছেড়ে চলে যান। তখন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর ওই কক্ষে তাঁর এক অনুসারীকে তুলে দেন। তবে হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার কক্ষটি তাঁদের পক্ষের দাবি করে অন্য একজনকে সেখানে ওঠাতে চাইলে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়।

দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে বলে সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেছেন এসএম হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি তানভীর সিকদার। তিনি বলেন, মাসুদ রানা হল ছেড়ে দেওয়ার পর গত এক সপ্তাহ ধরে ২২ নম্বর কক্ষে অন্য একজন শিক্ষার্থী থাকছেন। হঠাৎ করে সাধারণ সম্পাদক পক্ষ দাবি করছে, কক্ষটি তাদের। তারা ওই শিক্ষার্থীকে নামিয়ে দিয়ে ওই কক্ষে অন্য একজনকে ওঠানোর চেষ্টা করে। এ নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়েছে।

হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মিশাত সরকার হলেন, মাসুদ রানা হল ছেড়ে চলে যাওয়ার সময় ওই কক্ষ আমাদের দিয়ে গেছেন। কিন্তু তাঁরা (সভাপতির পক্ষ) জোর করে সেখানে অন্য একজনকে তুলে দেয়। এ নিয়ে জুনিয়রদের মধ্যে একটু কথা-কাটাকাটি হয়েছে।

এদিকে দুই ঘণ্টা ধরে উত্তেজনা চললেও এসএম হল প্রশাসনের দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তিকে ঘটনাস্থলে দেখা যায়নি। রাত ১২টার দিকে হলে যান আবাসিক শিক্ষক মুহাম্মদ বেলাল হোসেন। হল প্রাধ্যক্ষ মো. মজিবুর রহমান ছুটিতে থাকায় বেলাল হোসেন এখন ভারপ্রাপ্ত প্রাধ্যক্ষের দায়িত্বে আছেন। তিনি বলেন, দুই পক্ষের সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি সমাধান করা হবে।