খিলগাঁওয়ে ফুটপাতে পড়ে ছিল নিরাপত্তাকর্মীর মরদেহ

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর খিলগাঁও খিদমাহ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে আজ বুধবার সকালে পুলিশ কাজী সালাউদ্দিন ওরফে মাসুম (৫৫) নামের এক নিরাপত্তাকর্মীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্ধার করেছে। তাঁর মাথা, মুখমণ্ডল ও কানে আঘাতের চিহ্ন আছে। পুলিশের ধারণা, ভারী বস্তুর আঘাতে ওই নিরাপত্তাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে।

খিলগাঁও থানার পুলিশ জানায়, আজ সকাল সাড়ে সাতটার দিকে পুলিশ খিদমাহ হাসপাতালের পেছনের রাস্তার ফুটপাত থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় নিরাপত্তাকর্মী সালাউদ্দিনের লাশ উদ্ধার করে। পরে তা ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়। তাঁর মুখমণ্ডল ও কানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

খিলগাঁও থানা পরিদর্শক (তদন্ত) সুজিত চৌধুরী আজ প্রথম আলোকে বলেন, খিলগাঁও চৌরাস্তায় কয়েকটি দোকানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে চাকরি করেন সালাউদ্দিন।

ডিউটির স্থান থেকে আধা কিলোমিটার দূরে খিদমাহ হাসপাতালের সামনের ফুটপাত থেকে তাঁর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। ঘটনাস্থলের সিসিটিভির (ক্লোজড সার্কিট টিভি) ফুটেজে দেখা গেছে, অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিরা একটি পিকআপ ভ্যান নিয়ে খিলগাঁও চৌরাস্তায় আসে। তাদের সঙ্গে সালাউদ্দিনের কথা-কাটাকাটি হয়। পরে তারা সিসিটিভির আওতার বাইরে চলে যায়। এরপর কী হয়েছে, তা আর দেখা যায়নি।

পুলিশের ওই কর্মকর্তা বলেন, সালাউদ্দিন খিলগাঁও চৌরাস্তায় যেখানে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন, সেখানে গত রাতে তিনটি দোকানে তালা ভেঙে চুরি হয়েছে।

ধারণা করা হচ্ছে, গতকাল মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে তিনটা থেকে সকাল ছয়টার মধ্যে চোর দল নিরাপত্তাকর্মী সালাউদ্দিনকে হত্যা করে লাশ খিদমাহ হাসপাতালের সামনে ফেলে গেছে। ময়নাতদন্তের পর তাঁর মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

নিহত কাজী সালাউদ্দিন ছেলে কাজী সাদ্দাম হোসেনকে নিয়ে খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়ার কমিশনার গলির একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।

সাদ্দাম হোসেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে সাংবাদিকদের বলেন, তাঁর বাবা ১৫ দিন আগে নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজে যোগ দেন। মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে রাতের খাবার খেয়ে ডিউটি করতে যান। আজ সকালে এক ব্যক্তি ফোন করে তাঁর বাবার মৃত্যুর খবর জানান। তিনি দ্রুত সেখানে গিয়ে তাঁর বাবার রক্তাক্ত লাশ দেখতে পান। এ সময় খিলগাঁও থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁর লাশ উদ্ধার করে। তাঁর বাবার মুখে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন ছিল।

সালাউদ্দিনের বাড়ি গোপালগঞ্জের মকসুদপুর উপজেলার বোয়ালিয়ায়। তিনি এক ছেলে ও এক মেয়ের জনক ছিলেন।

খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ফারুকুল আলম আজ প্রথম আলোকে বলেন, থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। এ ব্যাপারে এখনো কাউকে আটক করা যায়নি।