গুলিস্তানে বাসের ধাক্কায় নিহত: এএসআই রিমান্ডে

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর গুলিস্তানে বাসের ধাক্কায় দুজনের নিহত হওয়ার ঘটনায় পুলিশ সদস্য এমাদুল হকের বিরুদ্ধে পল্টন থানায় মামলা হয়েছে। এই মামলায় তাঁকে আজ দুদিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে। এমাদুল পল্টন থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই)।
গতকাল রাতেই নিহত রাইসুল কবিরের বাবা কামাল উদ্দিন সড়ক পরিবহন আইনে এই মামলা করেন। আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় পল্টন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সালাহউদ্দীন মিয়া প্রথম আলোকে বলেন, ওই মামলায় এমাদুলকে দুই দিনের রিমান্ডে নিয়েছে পুলিশ।

গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে শ্রাবণ পরিবহনের একটি বাস প্রথমে গুলিস্তানসংলগ্ন কাপ্তান বাজারের সামনে পুলিশ কনস্টেবল নাসিরউদ্দিনকে ধাক্কা দিলে তিনি আহত হন। এরপর চালক ও তাঁর সহকারী বাসটি ফেলে পালিয়ে যান। তখন বাসটি রাস্তায় পড়ে থাকায় যানজটের সৃষ্টি হয়। এ সময় এএসআই এমাদুল হক নিজেই বাসটি চালিয়ে অন্য স্থানে সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। বাসটি আহাদ পুলিশ বক্সের কাছে এলে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সড়ক বিভাজকের ওপর উঠে যায়। এতে বাসের ধাক্কায় গুরুতর আহত হন চারজন পথচারী। তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে বেলা সাড়ে তিনটার দিকে কর্তব্যরত চিকিৎসক শুকুর মাহমুদ (বাবুল) ও রাইসুল কবির (তুষার) নামে দুজনকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর দুজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার পর ছেড়ে দেওয়া হয়।

পারিবারিক সূত্র জানায়, শুকুর মাহমুদ যুক্তরাষ্ট্রপ্রবাসী, আর রাইসুল কবির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করতেন।

শুকুর মাহমুদ নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা ভুইগড়ে থাকলেও তাঁর গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দাউদকান্দির রাঙা শিমুলিয়া গ্রামে। তিনি আড়াই মাস আগে বাংলাদেশে ফেরেন। আর রাইসুল কবিরের বাড়ি রাজধানীর জুরাইনের খন্দকার রোডে।

শুকুর মাহমুদ ঢাকায় কাজ শেষে নারায়ণগঞ্জে ফেরার জন্য রাস্তা পার হচ্ছিলেন, আর রাইসুল দাপ্তরিক কাজ শেষে পল্টনে তাঁর কর্মস্থলে ফিরছিলেন।