চাকরির আবেদনের বয়সসীমা বৃদ্ধির আন্দোলনে পুলিশের লাঠিপেটার প্রতিবাদ

সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ
ছবি: প্রথম আলো

সব ধরনের চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে ডাকা সমাবেশে পুলিশের লাঠিপেটার অভিযোগে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সমাবেশ হয়েছে।
আজ সোমবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ কর্মসূচির আয়োজন করে সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ।

সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গতকাল রোববার রাজধানীর নীলক্ষেত ও মিরপুরে চার দফা দাবিতে করা সমাবেশে লাঠিপেটা, নারীর শ্লীলতাহানি ও গ্রেপ্তারের প্রতিবাদে আজকের কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে।

সংগঠনের সমন্বয়ক তাসলিমা বলেন, ‘আমরা রাতারাতি এখানে আসিনি। রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকার, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, আইনমন্ত্রী, শিক্ষামন্ত্রীসহ বিভিন্ন দপ্তরে স্মারকলিপি দিয়েছি। এ ছাড়া বিভিন্ন সময়ে শাহবাগে অবস্থান করেছি। তখন কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা না ঘটলেও গতকাল হামলা করা হলো কেন?’

তাসলিমা আরও বলেন, ‘আমাকে এত মারধর করা হয়েছে যে হাঁটতে পারছি না। কেন আমার ওপর এমন আক্রমণ করা হলো, তা-ও বুঝতে পারছি না। আমি কি কোনো রাষ্ট্রদ্রোহী কাজ করেছি, নাকি দেশের দুর্নীতিগ্রস্ত লোক আমি।’

সমাবেশে সংগঠনের আরেক সমন্বয়ক আনোয়ার সাকিন বলেন, ‘আটক ব্যক্তিদের খোঁজ নিতে গেলে পুলিশ আমাদের আটক করে সারা রাত মারধর করে ছেড়ে দিয়েছে। আমাদের সঙ্গে কেন এমন করা হচ্ছে। আজ যদি আমরা দুর্নীতির সঙ্গে থাকতাম, প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকতাম, তাহলে আমাদের নিশ্চয়ই রাস্তায় দাঁড়াতে হতো না। রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ সুবিধা পাওয়া যেত।’

এ সময় বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের সদস্যসচিব ইসমাইল সম্রাট বলেন, ‘চার বছরের স্নাতক কোর্সে ভর্তি করিয়ে সাত বছরে ডিগ্রি দেওয়া হয়। এই তিন বছর কে দেবে। আবার চাকরির পরীক্ষায় ইচ্ছামতো আবেদন ফি নেওয়া হয়। প্রজ্ঞাপন দিয়ে ৫০-১০০ টাকার মধ্যে আবেদন ফি রাখতে হবে।’

চাকরিতে আবেদনের বয়সসীমা বাড়ানোর দাবিতে কয়েক বছর ধরে আন্দোলন করছে বিভিন্ন সংগঠনের জোট সর্বদলীয় ছাত্র ঐক্য পরিষদ। তাদের চার দফা দাবির অন্যগুলো হলো নিয়োগ দুর্নীতি-জালিয়াতি বন্ধ করা, নিয়োগ পরীক্ষার (প্রিলিমিনারি ও লিখিত) প্রাপ্ত নম্বরসহ ফল প্রকাশ, চাকরিতে আবেদনের ফি সর্বোচ্চ ১০০ টাকা করা ও একই সময়ে একাধিক নিয়োগ পরীক্ষা বন্ধ করে সমন্বিত পরীক্ষার ব্যবস্থা করা।