জাহাঙ্গীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে মশাল মিছিল

এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে উত্তরায় মশাল মিছিল হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা ওই আসনে জাহাঙ্গীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এই মিছিল করেন
ছবি: প্রথম আলো

ঢাকা-১৮ আসনের উপনির্বাচনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে আজ বৃহস্পতিবার রাতে উত্তরায় মশাল মিছিল হয়েছে। স্থানীয় বিএনপির একাংশের নেতা–কর্মীরা ওই আসনে জাহাঙ্গীরকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে এই মিছিল করেন।

আজ সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে উত্তরা আজমপুর বাসস্ট্যান্ড–সংলগ্ন পেট্রোলপাম্পের সামনে থেকে মশাল মিছিলটি শুরু হয়ে হাউস বিল্ডিং বাসস্ট্যান্ড এলাকায় গিয়ে শেষ হয়। মিছিলকারীরা জাহাঙ্গীরকে অবাঞ্ছিত ও ‘সন্ত্রাসী’ আখ্যায়িত করে তাঁর বিচার চেয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেন। কয়েক শতাধিক মশাল নিয়ে হঠাৎ এই মিছিলে সাধারণ জনগণ ও পথচারীরা ভয়ে এদিক-সেদিক ছুটোছুটি শুরু করেন।

উত্তরার বিভিন্ন এলাকার বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের বহিষ্কৃত নেতা নাজিম উদ্দিন দেওয়ান, মতিউর রহমান, আমজাদ হোসেন ও আবদুল কাদেরের নেতৃত্বে তিন শতাধিক কর্মী–সমর্থক মিছিলে অংশ নেন। এর আগেও এই অংশের নেতারা জাহাঙ্গীরের বিরুদ্ধে জুতা ও ঝাড়ু নিয়ে মিছিল করেছেন।

মিছিলে উপস্থিত দক্ষিণখান থানা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক সম্প্রতি বহিষ্কৃত নাজিম উদ্দিন বলেন, ‘জাহাঙ্গীর ও তাঁর সমর্থকেরা ১২ সেপ্টেম্বর অনেক নেতা–কর্মীকে মারধর করেন। এর কোনো বিচার হয়নি। এরপরও তাঁকে (জাহাঙ্গীর) এই আসনে মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তাই ঢাকা-১৮ আসনে আমরা এই প্রার্থীকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করছি।’

এ ছাড়া ঢাকা-১৮ আসনের মনোনয়নকে কেন্দ্র করে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামের বাসায় ডিম নিক্ষেপের ঘটনায় ১৮ জন নেতা–কর্মীকে বহিষ্কার করে বিএনপি।

মশাল মিছিলের বিষয়ে কিছু জানেন না উল্লেখ করে বিএনপির প্রার্থী এস এম জাহাঙ্গীর বলেন, ‘মনোনয়ন অনেকেই চেয়েছিলেন। তবে এখন আমরা সবাই মিলে একসঙ্গে নির্বাচনে দলের জন্য কাজ করছি। হয়তো আওয়ামী লীগ ষড়যন্ত্র করছে। কারণ, তারা চায় না জনগণ ভোটকেন্দ্রে যাক।’ আওয়ামী লীগের অন্য কোনো গ্রুপ দিয়েই হয়তো এগুলো করানো হচ্ছে বলেও তিনি জানান।

সরকারি দলের সাংসদ সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া আসনটিতে ১২ নভেম্বর ভোট গ্রহণ করা হবে।