ঢাকার আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে তল্লাশি চালাবে ডিএমপি

পদ্মা সেতুর উদ্বোধন, আসন্ন রথযাত্রা ও উল্টো রথযাত্রা উপলক্ষে কেউ যেন কোনো ধরনের নাশকতা করতে না পারে, এ জন্য রাজধানীর আবাসিক হোটেল ও মেসে তল্লাশি চালাবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)। পাশাপাশি জোরদার করা হবে টহল ও চেকপোস্ট। ২৫ জুন পর্যন্ত এ অভিযান চলবে। রোববার ডিএমপির মাসিক অপরাধ পর্যালোচনা সভায় এ নির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার মোহা. শফিকুল ইসলাম।

সভায় উপস্থিত ডিএমপির আটটি অপরাধ বিভাগ ও ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি), কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের (সিটিটিসি) কর্মকর্তাদের এ নির্দেশনা দেওয়া হয়। এর আগে ডিএমপি সদর দপ্তর থেকে ডিএমপির প্রতিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ও উপকমিশনারদের চিঠি দেওয়া হয়।

ডিএমপির বিভিন্ন পদমর্যাদার একাধিক কর্মকর্তা প্রথম আলোকে জানান, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অনেক ভিআইপি, ভিভিআইপি যোগ দেবেন। অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যাতে নাশকতার ঘটনা না ঘটতে পারে, এ জন্য সর্তক অবস্থায় থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন কমিশনার। ঢাকার প্রতিটি আবাসিক হোটেল ও মেসগুলোতে সাঁড়াশি অভিযান চালাতে বলা হয়েছে। পাশাপাশি টহল ও চেকপোস্ট জোরদার এবং গুরুত্বপূর্ণ এলাকাগুলোকে সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অভিযানের পাশাপাশি গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) কাজ করতে বলা হয়েছে।

সভায় উপস্থিত কর্মকর্তাদের উদ্দেশ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে যেসব এলাকায় গরুর হাট বসবে, সেসব স্থানে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্বপালন করতে হবে। গরুর হাটকে কেন্দ্র করে কোনো ধরনের চাঁদাবাজিসহ অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা যেন না ঘটে, সেদিকে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সতর্ক থাকতে হবে। বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে কাজ করে জনগণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে।

থানায় আসা বেশির ভাগ অভিযোগ সাইবার অপরাধকেন্দ্রিক। তাই ডিএমপির অপরাধ সভায় সাইবার অপরাধ নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোটরসাইকেল চুরি প্রতিরোধে কাজ করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এদিকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের নিরাপত্তায় পদ্মার দুই পারে পুলিশ, র‍্যাব, এপিবিএন, পুলিশের স্পেশাল শাখার (এসবি) পাঁচ হাজার সদস্য মোতায়েন থাকবে বলে জানিয়েছে পুলিশ সদর দপ্তর। পাশাপাশি ডগ স্কোয়াড দিয়ে তল্লাশি চালানো হবে।