ঢাবির সূর্যসেন হলে কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষে উত্তেজনা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
ফাইল ছবি

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে কক্ষের নিয়ন্ত্রণ নেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। গতকাল সোমবার রাত ১১টা থেকে দিবাগত রাত সোয়া ১২টা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মাস্টারদা সূর্যসেন হলে এই উত্তেজনা চলে।

পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খান ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান হলে গিয়ে তাঁদের নেতা-কর্মীদের শান্ত করেন। তবে এ বিষয়ে কিছু ‘জানেন না’ বলে জানিয়েছেন সূর্যসেন হলের প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া।

সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ২ জুন হল প্রশাসন কক্ষ বরাদ্দের তালিকা প্রকাশ করে। হলের ২৬৯ নম্বর কক্ষটি হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমানের অনুসারী তানভীর হোসেন ওরফে শান্ত বরাদ্দ পেয়েছেন।

কিন্তু ওই কক্ষে সভাপতি মারিয়াম জামান খানের পক্ষের ঘনিষ্ঠ দুজন অছাত্র থাকেন। তানভীর তাঁর এক বন্ধুকে নিয়ে ওই কক্ষে উঠতে গেলে এ নিয়ে ওই দুই অছাত্রের সঙ্গে তাঁদের উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়।

পরে গতকাল রাত ১১টার দিকে সভাপতির পক্ষের কয়েকজন নেতা-কর্মী ওই কক্ষে গেলে তানভীরের সঙ্গে তাঁদেরও কথা–কাটাকাটি হয়। তানভীর তাঁদের বলেন, তিনি তাঁর বরাদ্দ পাওয়া কক্ষেই থাকতে চান। কিন্তু তাঁরা তানভীরকে অন্য কক্ষে তুলে দেওয়ার আশ্বাস দেন।

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, কথা–কাটাকাটির একপর্যায়ে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতির পক্ষের নেতা–কর্মীরা সাধারণ সম্পাদকের পক্ষের নিয়ন্ত্রণে থাকা চার-পাঁচটি কক্ষে তাঁদের কর্মীদের তুলে দেন। এমন পরিস্থিতিতে দুই পক্ষের নেতা-কর্মীরা স্টাম্প ও লাঠিসোঁটা হাতে বের হয়ে হলের বিভিন্ন অংশে অবস্থান নেন। এ সময় দুই পক্ষের নেতা-কর্মীদের বাগ্‌বিতণ্ডা, গালিগালাজ ও চিৎকার-চেঁচামেচিতে পুরো হলে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।

পরে হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম ও সাধারণ সম্পাদক সিয়াম হলে এসে নেতা-কর্মীদের শান্ত করলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। তাঁরা সিদ্ধান্ত দেন, ২৬৯ নম্বর কক্ষে দুই অছাত্রের একজনের সঙ্গে তানভীর থাকবেন।

আরও পড়ুন

এই ঘটনার বিষয়ে সূর্যসেন হল শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সিয়াম রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘একটি কক্ষে ওঠা নিয়ে একটু ঝামেলা হয়েছিল। পরে আমি ও হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি গিয়ে বিষয়টি সমাধান করে দিয়েছি।’

হল প্রাধ্যক্ষ মোহাম্মদ মকবুল হোসেন ভূঁইয়া এই ঘটনার সময় হল কার্যালয়েই ছিলেন বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তবে ২৬৯ নম্বর কক্ষে ওঠা নিয়ে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের উত্তেজনার বিষয়টি জানেন না বলে দাবি করেন তিনি।

প্রাধ্যক্ষ গতকাল রাতে প্রথম আলোকে বলেন, ‘২৬৯ নম্বর কক্ষের বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিচ্ছি। তবে এক অছাত্র হলের ১০২ নম্বর কক্ষে এসে থাকতো। তাঁকে আমরা হল থেকে বের করে দিয়েছি এবং আর না আসার জন্য বলেছি।’