ঢাবি ছাত্রলীগের দুই নেতার বিরুদ্ধে মারধর ও চাঁদা দাবির অভিযোগ

প্রতীকী ছবি

সড়ক দুর্ঘটনার জেরে একটি প্রাইভেট কারের মালিক ও এর চালককে আটকে রেখে ছাত্রলীগের দুই নেতা মারধর এবং পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। গাড়ির মালিক ও চালক এই অভিযোগ করেন। তবে দুই নেতাই অভিযোগটি অস্বীকার করেছেন।

আজ সোমবার বিকেলে ঢাকার ধানমন্ডির গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের সামনে সড়ক দুর্ঘটনাটি ঘটে।

অভিযুক্ত দুই নেতা হলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নাট্য ও বিতর্কবিষয়ক উপসম্পাদক পাপ্পু ঢালী এবং ছাত্রলীগের প্যানেল থেকে নির্বাচিত বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হল সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক (জিএস) ও হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইমাম হাসান।

গাড়ির মালিক মাহমুদুল হাসান অভিযোগ করে বলেন, ‘চালক মোস্তফা ফোন করে জানান যে একটি মোটরসাইকেলের সঙ্গে আমার “ঢাকা মেট্রো,-গ, ২৩-৩৩৪১” নম্বর গাড়িটির ধাক্কা লেগেছে। এর জের ধরে মোটরসাইকেল আরোহীরা তাঁকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি জসীমউদ্‌দীন হলের মাঠে আটকে রেখে মারধর করে ও তাঁর কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। পরে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাই।

হলে গেলে পাপ্পু আমাকেও মারধর করেন। পাপ্পু ও ইমাম প্রথমে পাঁচ লাখ ও একপর্যায়ে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করেন। পরে সেখান থেকে বেরিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়পড়ুয়া আমার পরিচিত এক ছোট ভাইকে ফোন করে ঘটনা জানাই ও আসতে বলি। সে আসার পর গাড়িটি থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। কোনো ক্ষতিপূরণ ছাড়াই থানায় বিষয়টির মীমাংসা করা হয়। মারধরে আহত চালককে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।’

ঘটনার বিষয়ে অভিযুক্ত ছাত্রলীগের নেতা পাপ্পু ঢালী বলেন, ‘আমি আমার রাস্তা ধরে যাচ্ছিলাম। প্রাইভেট কারের চালক হুট করে ইউটার্ন নিতে গিয়ে আমার সামনে চলে আসেন। এর ফলে আমার বাইকের সঙ্গে গাড়িটির ধাক্কা লাগে। এতে আমার বাইক ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও আমি আহত হই। পরে ক্ষতিপূরণের জন্য তাঁকে ধরা হয়।’ চাঁদা দাবি ও মারধরের অভিযোগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘ঘটনাটি মীমাংসা হয়ে গেছে। এ ধরনের কোনো কথাবার্তা হয়নি। এগুলো খুবই হাস্যকর কথাবার্তা।’ আরেক অভিযুক্ত ইমাম হাসানও প্রথম আলোর কাছে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।

পাপ্পু ও ইমাম দুজনই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাসের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। এ বিষয়ে জানতে সনজিতের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। ঘটনার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ‘ছাত্রলীগের গঠনতন্ত্র ও আদর্শবিরোধী কর্মকাণ্ডে সংগঠনের কারও জড়িত থাকার সুস্পষ্ট প্রমাণ পাওয়া গেলে দ্রুততম সময়ের মধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এ ক্ষেত্রেও তা-ই হবে।’