দক্ষিণ সিটির ১৫ কর্মকর্তার তথ্য চেয়েছে দুদক

সরকারি টাকা আত্মসাৎ, ঘুষ গ্রহণ, রাজস্ব আদায়ে অনিয়ম, বদলি–বাণিজ্যসহ নানা অনিয়মের অভিযোগ ওঠা অন্তত ১৫ কর্মকর্তার ব্যক্তিগত তথ্য চেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। গত মাসের বিভিন্ন তারিখে পাঠানো কয়েকটি চিঠিতে দুদকের সহকারী পরিচালক ও অনুসন্ধানী কর্মকর্তা সৈয়দ নজরুল ইসলাম দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে এসব ব্যক্তির বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন। সর্বশেষ গত ২৩ জুন একটি চিঠি পাঠানো হয়।

আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জানতে চাইলে দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ প্রথম আলোকে বলেন, দুদক থেকে বেশ কয়েকটি চিঠি তাঁরা পেয়েছেন। দুদক যেসব তথ্য চাচ্ছে, এর মধ্যে কিছু কিছু তথ্য সংগ্রহ করা সময়সাপেক্ষ। গত সপ্তাহেও তাঁরা কিছু তথ্য দিয়েছেন। পর্যায়ক্রমে বাকি তথ্য দিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

দুদকের ওই সব চিঠিতে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট–১, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট–২, সুন্দরবন স্কয়ার সুপার মার্কেট, গুলিস্তান ট্রেড সেন্টার, কাপ্তানবাজার কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন মার্কেটের নকশা, অনুমোদিত দোকানের সংখ্যা, বরাদ্দপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানাসহ তালিকা ইত্যাদি তথ্য চাওয়া হয়েছে। এ ছাড়া নীলক্ষেত রোড সাইট মার্কেটসংক্রান্ত নথির সত্যায়িত ফটোকপি, অনলাইনে ট্রেড লাইসেন্স ইস্যু/নবায়ন ও পৌরকর গ্রহণ প্রকল্পসংক্রান্ত নথিরও তথ্য চাওয়া হয়েছে।

এসব চিঠিতে যাঁদের নাম এসেছে, তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দক্ষিণ সিটির প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা মো. ইউসুফ আলী সরদার, রাজস্ব কর্মকর্তা শাহজাহান আলী, আলীম আল রাজি, প্রকৌশলী মো. আসাদুজ্জামান, দক্ষিণ সিটির বর্জ্য ব্যবস্থাপনাবিষয়ক উপদেষ্টা খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম, কর কর্মকর্তা শেখ আবদুল কুদ্দুস, ক্যাশিয়ার আবদুস সালাম, সিস্টেম এনালিস্ট আবু তৈয়ব রোকন, প্রোগ্রামার নুরুল আলম, মেইনটেনেন্স ইঞ্জিনিয়ার সুভাশীষ ভৌমিক, উপকর কর্মকর্তা মো. জসিমউদ্দিন, উপকর কর্মকর্তা আনিসুর রহমানসহ আরও কয়েকজন। তবে খন্দকার মিল্লাতুল ইসলাম বেশ কিছুদিন আগে মারা গেছেন।