দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতকেও এগিয়ে আসতে হবে

‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে আমন্ত্রিত অতিথিরা
ছবি: প্রথম আলো

দুর্যোগ যেকোনো দেশের সাধারণ মানুষের পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে ঝুঁকিতে ফেলে। এ জন্য দুর্যোগ ঝুঁকি হ্রাস (ডিআরআর) ও উন্নয়নকাজে জড়িত অংশীজন, শিক্ষাবিদ এবং বেসরকারি খাতের মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা করতে হবে। বেসরকারি খাতে ইমার্জেন্সি রেসপন্স টিম (পিইআরটি) গড়ে তুলতে হবে।

‘দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় বেসরকারি খাতের অংশগ্রহণ’ শীর্ষক এক সেমিনারে এসব কথা বলেন বক্তারা। মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) ও স্ট্রেনদেনিং আরবান পাবলিক–প্রাইভেট প্রোগ্রামিং ফর আর্থকোয়েক রিসিলেন্স প্রজেক্ট এ সেমিনারের আয়োজন করে।

সেমিনারে বক্তারা বলেন, ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি দক্ষিণ এশিয়ার মধ্যে প্রথম দুযোর্গ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার প্রতিষ্ঠা করেছে। ২০২০ সালের জুন থেকে ডিসিসিআই এ কার্যক্রমের সঙ্গে বেসরকারি সংস্থা একশনএইড, ইউনাইটেড পারপাস বাংলাদেশ এবং ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ একসঙ্গে কাজ করছে। এ প্রকল্পে অর্থায়ন করছে ইউরোপিয়ান সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড সিভিল হিউম্যানিটারিয়ান এইড অপারেশনস (ইসিএইচও)।

অনুষ্ঠানে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান বলেন, ‘দেশি বিনিয়োগ আরও নিরাপদ ও উৎসাহিতকরণে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় আমাদের দক্ষতা অর্জন খুবই জরুরি।’ সংশ্লিষ্ট সংস্থার সমন্বয়ে তাঁর মন্ত্রণালয় ‘স্টেট অব দ্য আর্থ ন্যাশনাল ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার’ স্থাপন করেছে বলে জানান তিনি। যার মাধ্যমে ঝুঁকি মোকাবিলায় ডেটাবেইজ প্রণয়ন ও প্রয়োজনীয় সহযোগিতা প্রদান করা হবে।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন ফিলিপাইনের রাষ্ট্রদূত অ্যালেন এল ডেনেইগা। তিনি বলেন, ঝুঁকি ব্যবস্থাপনার দক্ষতা অর্জনে বাংলাদেশ ও ফিলিপাইনের বেসরকারি খাতের প্রতিনিধিদের যৌথ উদ্যোগ গ্রহণ করা প্রয়োজন। তিনি এ ক্ষেত্রে তরুণ জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করতে আহ্বান জানান।

বেসরকারি খাতের স্বার্থে ঝুঁকি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা সম্প্রসারণে তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন একশনএইডের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবীর। এ সময় ডিসিসিআইয়ের সভাপতি রিজওয়ান রাহমান বলেন, বিভিন্ন সময় কারখানায় আগুন লাগলে ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। সে জন্য বেসরকারি খাতকে উৎসাহিত করতে হবে, তারা যেন তাদের দুর্যোগ ঝুঁকি ব্যবস্থাপনা গ্রহণ করে। তিনি এ অর্থায়নে সরকারি নীতি প্রণয়ের দাবি জানান।

সেমিনারে অন্যদের মধ্যে ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন সিভিল প্রোটেকশন অ্যান্ড হিউম্যানিটারিয়াম এইড (ইকো), বাংলাদেশের প্রধান অ্যানা অরল্যানডিনি বক্তব্য দেন। তিনি টেকসই ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকল্পে দুর্যোগ ঝুঁকি মোকাবিলায় বেসরকারি খাতের সম্পৃক্তকরণের ওপর জোর দেন।