ধর্ষণের শিকার ফুল বিক্রেতা কিশোরী

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর মিরপুর এলাকায় রাস্তায় ফুল বিক্রি করত কিশোরীটি (১২)। মা ছয় মাস আগেই তাকে ছেড়ে চলে গেছেন। ফুল বিক্রি করেই ভাসমান জীবন চলে তার। ২ জানুয়ারি সন্ধ্যায় মিরপুর-১–এর গোলচত্বর এলাকায় ধর্ষণের শিকার হয়েছে সে।

অভিযোগ উঠেছে ভাসমান এক কিশোর (১৬) ও সুমন (১৯) নামের এক তরুণের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার তাদের দুজনকে আটক করেছে মিরপুর মডেল থানার পুলিশ।

পুলিশ জানিয়েছে, সুমনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। ভুক্তভোগী কিশোরীকে চিকিৎসা শেষ টঙ্গীর কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে তার জবানবন্দি নেওয়া হয়েছে।

মিরপুর মডেল থানার পরিদর্শক আক্তারুজ্জামান বলেন, ২ জানুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে মিরপুর-১–এর গোলচত্বর এলাকায় ঝোপের মধ্যে পথশিশুটি দলবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়। শিশুটি অচেতন অবস্থায় রাস্তায় পড়েছিল। স্থানীয় লোকজন ৯৯৯–এ ফোন করে ঘটনাটি পুলিশকে জানায়। পরে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান–স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওসিসির সমন্বয়ক বিলকিস বেগম বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুটিকে ২ জানুয়ারি তাঁদের হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসার পর শিশুটির অবস্থা আগের থেকে ভালো হওয়ায় তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

পুলিশ কর্মকর্তা আক্তারুজ্জামান বলেন, অনেক খোঁজাখুঁজির পরও শিশুটির মা–বাবার খোঁজ পাওয়া যায়নি। শিশুটির নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে কিশোরী উন্নয়ন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। এ ঘটনায় জড়িত কিশোর সোমবার ঢাকার সিএমএম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।