এরপরও উৎসুক মুসল্লিদের অনেকেই রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ মিছিল করেন। বেলা দুইটার দিকে মোদির বিরুদ্ধে নানা স্লোগান তুলে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেট থেকে মিছিল বের করা হয়। এরপর পল্টন মোড় হয়ে নাইটিঙ্গেল মোড় ঘুরে আবার পল্টন মোড় হয়ে বায়তুল মোকাররমের উত্তর গেটে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়। এ সময় সড়কের বিভিন্ন স্থানে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্যের অবস্থান ছিল। তবে কর্মসূচিতে পুলিশকে বাধা দিতে দেখা যায়নি।
এর আগে বায়তুল মোকাররমের উত্তর ফটকে সমমনা ইসলামি দলগুলোর সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের সেক্রেটারি মোস্তফা তারেকুল হাছান বলেন, সরকার যতই বাধা দিক, মোদির স্থান বাংলাদেশে হবে না, হতে দেওয়া হবে না। মাইকের অনুমতি না দিলেও দেশের ১৮ কোটি মুসলমান ঝাড়ু ও জুতা নিয়ে মোদির জন্য অপেক্ষা করবে।
বাংলাদেশ মুসলিম লীগ স্থায়ী কমিটির সদস্য আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ বাংলাদেশে ভারতের মুসলিমদের রক্তে রঞ্জিত নরেন্দ্র মোদিকে আসতে দেব না।’
সমমনা ইসলামি দলগুলোর শীর্ষ নেতা ইসলামী ঐক্য আন্দোলনের চেয়ারম্যান ঈসা সাঈদী বলেন, বাংলাদেশের মাটিতে এমন কোনো দেশের নেতাকে স্বাগত জানাব না, যাঁর হাত মুসলিমদের এবং মজলুম মানুষের রক্তে রঞ্জিত।
খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমদ আবদুল কাদের বলেন, এ দেশের মানুষ মোদিকে স্বাগত জানায় না। মুসলিমবিদ্বেষী মোদিকে এ দেশের মানুষ দেখতে চায় না।
এদিকে ঢাকা মহানগরে সভা–সমাবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীকে সরকার প্রশ্নবিদ্ধ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন সমমনা ইসলামি দলগুলোর সমন্বয়কারী জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সহসভাপতি মাওলানা আবদুর রব ইউসূফি।