নাঈমের মৃত্যু: ময়লার গাড়িচালক হারুন রিমান্ডে
নটর ডেম কলেজের শিক্ষার্থী নাঈম হাসানের গাড়িচাপায় নিহতের ঘটনায় করা মামলায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ময়লার গাড়ির মূল চালক হারুন অর রশিদের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত আজ শনিবার এই আদেশ দেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের অপরাধ ও তথ্য বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মোতালেব হোসেন।
আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শনিবার ডিএসসিসি ময়লার গাড়ির মূল চালক হারুন অর রশিদকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে আদালত হারুনের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত বুধবার কলেজে যাওয়ার পথে গুলিস্তানে রাস্তা পার হওয়ার সময় ডিএসসিসির ময়লার গাড়ির চাপায় নিহত হয় নাঈম হাসান। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে গুলিস্তান হল মার্কেটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রত্যক্ষদর্শীরা প্রথম আলোকে বলেছেন, হল মার্কেট মোড়ে বায়তুল মোকাররমগামী দক্ষিণ সিটির একটি ময়লার গাড়ি মোড় ঘুরে নাঈমকে প্রথমে ধাক্কা দেয়। এতে সে পড়ে যায়। এরপর গাড়িটি না থেমে তাকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত নাঈমকে পুলিশ ও পথচারীরা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে নেওয়ার পরই চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নাঈমের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা বাদী হয়ে পল্টন থানায় সড়ক পরিবহন আইনে মামলা করেন। ওই মামলায় প্রথমে পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খানকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গত বৃহস্পতিবার ঢাকার সিএমএম আদালত রাসেলের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। রাসেল পুলিশি হেফাজতে রয়েছেন।
পল্টন থানা-পুলিশ আদালতে এক প্রতিবেদন দিয়ে জানিয়েছে, ডিএসসিসি পরিচ্ছন্নতাকর্মী রাসেল খান চালক নন। তাঁর বৈধ লাইসেন্স নেই। গাড়িটির চালক হারুন অর রশিদ। বদলি হিসেবে রাসেল খান গাড়ি চালাচ্ছিলেন।
অবশ্য দক্ষিণ সিটি করপোরেশন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হারুন মিয়া ওই গাড়িটি অবৈধভাবে বরাদ্দ নিয়েছেন। গাড়ির মূল চালক (ভারী) ইরান মিয়া। নাঈম হাসানকে চাপা দেওয়া গাড়িটি বদলি চালক হিসেবে যে তিনজন চালাতেন, তাঁদের কারও ভারী যানবাহন চালানোর লাইসেন্স নেই। দক্ষিণ সিটির ময়লাবাহী গাড়িগুলো যাঁদের দিয়ে চালানো হচ্ছে, তাঁদের বেশির ভাগই হয় পরিচ্ছন্নতাকর্মী, না হয় মশককর্মী, নিরাপত্তাপ্রহরী বা অন্য পদে দৈনিক মজুরি ভিত্তিতে করপোরেশনে কাজ করছেন।