নামকরা মিষ্টির দোকানের দই-মিষ্টিতেও ভেজাল

নামকরা মিষ্টির দোকানের দই, মিষ্টি আর রসগোল্লাতেও ভেজাল! রাজধানী ঢাকার এমন কয়েকটি দোকানে মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর রাসায়নিক ও মেয়াদোত্তীর্ণ রং মিশিয়ে তৈরি হচ্ছে দই, রসগোল্লা, চমচম ও রসমালাই। এর সঙ্গে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ তো আছেই।

গতকাল শনিবার রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কদমতলী এলাকার চারটি মিষ্টির দোকানে অভিযান চালিয়ে এমনই দৃশ্য দেখতে পান র‍্যাবের ভ্রাম্যমাণ আদালত। দোকানগুলো হলো রস লিমিটেড, আদি বনফুল মিষ্টান্ন ভান্ডার, শ্রীনগর বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার এবং ভাগ্যকুল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডার। অভিযানে চার প্রতিষ্ঠানকে মোট ৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন র‍্যাবের নির্বাহী হাকিম সারওয়ার আলম।

সারওয়ার আলম প্রথম আলোকে বলেন, সকাল সাড়ে ১০টার দিকে যাত্রাবাড়ীর ভাঙ্গা প্রেস এলাকায় রস লিমিটেডের কারখানায় র‍্যাব-১০ অভিযান শুরু করে। সেখানে দেখা যায়, ওয়াসার পানি ব্যবহার করে খালি হাতে ছানা মাখানো হচ্ছে। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে ময়লা কাপড় দিয়ে ঢেকে দই তৈরি করতে দেখা যায়। মিষ্টিসহ অন্যান্য খাবারে ব্যবহার করা হয় ছয় মাস আগের মেয়াদোত্তীর্ণ রং। এ ছাড়া রং সাদা করতে এবং ওজন বাড়াতে দইয়ে মেশানো হয় ক্ষতিকর রাসায়নিক। এ সময় রসের ব্যবস্থাপক সানোয়ার হোসেনকে ছয় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। অভিযান শেষে দোকানটির বেশ কিছু দই, মিষ্টি, ঘি ও কেক ধ্বংস করা হয়। এরপর দোলাইরপাড় এলাকার আদি বনফুল মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক কবির হোসেনকে এক লাখ, ধোলাইখালের শ্রীনগর বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক রনি ঘোষকে দেড় লাখ ও ভাগ্যকুল বিক্রমপুর মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক স্বপন ঘোষকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

র‍্যাব জানায়, এসব দোকানের খাবারের অনুপযোগী প্রায় পাঁচ মণ মিষ্টি ও সন্দেশ ধ্বংস করা হয়। এ সময় ওই সব দোকানের মালিকদের ১৫ দিনের মধ্যে তাঁদের কারখানার পরিবেশ স্বাস্থ্যসম্মত করার সময় বেঁধে দেন ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।