‘নারীর মুক্তি ছিল নাসরীন হকের প্রাণের দাবি’

মানবাধিকার কর্মী ও নারীপক্ষের প্রয়াত সদস্য নাসরীন পারভীন হকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ভার্চ্যুয়ালি স্মারক বক্তৃতা।
ছবি: সংগৃহীত

নারীর মুক্তি ছিল নাসরীন হকের প্রাণের দাবি। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি নারীর অধিকার আদায়ে কাজ করেছেন। মানবাধিকার কর্মী ও নারীপক্ষের প্রয়াত সদস্য নাসরীন পারভীন হকের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত স্মারক বক্তৃতায় বক্তারা এ কথা বলেছেন।

বৃহস্পতিবার নারীপক্ষের উদ্যোগে ভার্চ্যুয়ালি নাসরীন হক স্মারক বক্তৃতার আয়োজন করা হয়। ‘অধস্তনতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ নাকি আধিপত্যের প্রসার: রাষ্ট্রীয় নীতির প্রভাব, আন্দোলনের রাজনীতি ও নারীবাদী তৎপরতা’ শিরোনামে স্মারক বক্তৃতা করেন ভারতীয় নারীবাদী গবেষক ও নারী আন্দোলন কর্মী মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায়।

মৈত্রেয়ী মুখোপাধ্যায় বলেন, নারীবাদে সবময়ই রাজনৈতিক প্রভাব থাকে। নারীবাদ রাজনীতি শুধু নারীর অধিকারের মধ্যে সীমাবদ্ধ না। এটা জাতীয় রাজনীতি, উন্নয়ন এবং বৈশ্বিকায়নেরও বিষয়। নারীবাদ রাজনীতির সঙ্গে ধর্মনিরপেক্ষতাও জড়িত। আর দক্ষিণ এশিয়াতে তা আরও বেশি প্রযোজ্য। কারণ নারীকে এখানে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকেই বিবেচনা করা হয়।

নারীর স্বাস্থ্য সেবার কথা বলতে গিয়ে নাসরীন হককে স্মরণ করেন ভারতীয় এই আন্দোলন কর্মী। তিনি বলেন, নাসরীন সব সময় নারীর স্বাস্থ্য সেবা পাওয়ার অধিকার নিয়ে সোচ্চার ছিলেন।

স্মরণ সভায় বলা হয়, নাসরীন হক ১৯৫৮ সালের ১৭ নভেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ব্র্যাক, অ্যাকশনএইডসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে কাজ করেছেন। এ ছাড়া নারীর অধিকার আদায়ে সব সময় সোচ্চার ছিলেন। এ ছাড়া তাঁর আন্দোলন শুধু নারী অধিকার আন্দোলনের মধ্যে সীমাবদ্ধ ছিল না। তিনি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও মৌলিক অধিকার এবং নারী মুক্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। সব ধরনের, সব শ্রেণির, ভাষার, ধর্মের, সম্প্রদায়ের, জাতিসত্তার, যৌন পরিচিতির— সর্বোপরি সামাজিক কোনো পার্থক্যই তাঁর জন্য দেয়াল তৈরি করতে পারেনি।

ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ফিরদৌস আজিমের সঞ্চালনায় স্মরণ সভায় আরও অংশ নেন নারীপক্ষের সদস্য শিরিন হক, সাবেক সভানেত্রী মাহীন সুলতান, আন্দোলন সম্পাদক তামান্না খান প্রমুখ।