নির্বাহী প্রকৌশলীর গায়ে হাত তোলায় প্রতিবাদ

রাজধানীর গ্রিনরোডে পানি ভবনের সামনে পাউবোর কর্মকর্তা-কর্মচারীরা মানববন্ধন ও বিক্ষোভ
ছবি: প্রথম আলো

এক নির্বাহী প্রকৌশলীর গায়ে ঠিকাদার প্রতিনিধিদের হাত তোলার প্রতিবাদে মানববন্ধন করেছেন বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। আজ মঙ্গলবার বেলা তিনটার দিকে রাজধানীর গ্রিনরোডে পানি ভবনের সামনে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ করেন তাঁরা। তাঁরা বলছেন, এভাবে সরকারি কাজের পরিবেশ ও মান বিঘ্নিত হয়।

মানববন্ধন থেকে বলা হয়, পাউবোর নাটোর পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান জেলার সিংড়া পৌরসভা এলাকায় আত্রাই ও নাগর নদের ভাঙন রক্ষা প্রকল্পের টাইলসের মান নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। এর জেরে গতকাল সোমবার ওই প্রকল্পের ঠিকাদার মো. হাসিবুল হাসানের প্রতিনিধি মীর আমিরুল ইসলাম জাহান ও মো. নাফিউল ইসলাম নাটোরে পওর বিভাগের কার্যালয়ে গিয়ে নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হানের ওপর হামলা করেন। এ সময় কার্যালয়ে ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। এ ঘটনায় নাটোর সদর থানায় একটি এজাহার দায়ের করা হয়েছে।

পাউবো কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান। তাঁরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে বিচারের দাবি তোলেন। পাউবোর ঢাকা পওর বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আইনুল হক মানববন্ধনে ছিলেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘সারা দেশে পাউবোর নির্বাহী প্রকৌশলীরা মাঠপর্যায়ে কাজ করার সময় প্রায়ই এমন চাপে থাকেন। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে নির্বাহী প্রকৌশলীদের কাজ করতে গেলে নিরাপত্তা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত শেষে দোষীদের বিচার করা হোক। আমরা চাই, ভবিষ্যতে নির্বাহী প্রকৌশলীদের ওপর এমন ঘটনা আর না ঘটে।’

পরে গুলি করবে না গ্যারান্টি কী

নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান আজ বিকেলে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ওই প্রকল্পের আওতায় ভবন ও বাংলোর মেরামতের কাজে ঠিকাদারদের ভালো মানের টাইলস ব্যবহারের নির্দেশনা দেওয়া হয়। সে বিষয়ে আলোচনা না করে ওই দিন ঠিকাদার মীর আমিরুল ইসলাম জাহান ও তাঁর ছেলে মো. নাফিউল ইসলাম আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন এবং গায়ে হাত তোলে।’

এ ঘটনার পর আবু রায়হান নাটোর ছেড়ে যান। তিনি বর্তমানে রাজশাহীতে আছেন। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, ‘এভাবে কাজের পরিবেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আমি আর নাটোরে ফিরতে চাই না। এটা সম্ভব না। হামলাকারীরা স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাসীন। আজ গায়ে হাত দিয়েছে, পরে গুলি করবে না গ্যারান্টি কী?’

এসব বিষয়ে জানতে মীর আমিরুল ইসলাম জাহানের মুঠোফোনে কয়েকবার যোগাযোগ করা হলেও তিনি ফোনকল ধরেননি।