পরীমনির বিরুদ্ধে মাদক মামলায় অভিযোগ গঠনের শুনানি ২ জানুয়ারি

চিত্রনায়িকা পরীমনি
ছবি: ফেসবুক

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি তারিখ ঠিক করেছেন আদালত।

ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এর বিচারক মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এ তারিখ ঠিক করেন। প্রথম আলোকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন পরীমনির আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত।

নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে করা মাদক মামলায় অভিযোগ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য আজকের দিন ঠিক ছিল। কিন্তু পরীমনি অসুস্থ হয়ে পড়ায় তিনি আজ আদালতে হাজির হতে পারেননি। তাঁর পক্ষে সময় চেয়ে আবেদন করা হয়। আদালত এ আবেদন মঞ্জুর করেন। একই মামলায় অপর দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেন আজ আদালতে হাজির ছিলেন। তাঁদের জামিন আবেদন মঞ্জুর করেছেন আদালত। আদালত অভিযোগ গঠনের শুনানির নতুন তারিখ ঠিক করেছেন।

আইনজীবী নীলাঞ্জনা রিফাত বলেন, পরীমনি আদালতে আসার জন্য আজ বাসা থেকে বের হন। কিন্তু পথে তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাই তিনি আজ আদালতে আসতে পারেননি। পরীমনি ভার্টিগো বা ঘূর্ণিরোগে আক্রান্ত।

মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে পুলিশের দেওয়া অভিযোগপত্র গত ১৫ নভেম্বর আমলে নেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালত। একই সঙ্গে অভিযোগ গঠনের শুনানির জন্য আজকের তারিখ (১৪ ডিসেম্বর) ধার্য করেন আদালত। সেদিন মামলাটি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-১০-এ বদলির আদেশ দেন মহানগর দায়রা জজ আদালত। পরীমনি সেদিন আদালতে হাজির ছিলেন।

গত ৪ আগস্ট রাজধানীর বনানীতে পরীমনির বাসায় অভিযান চালায় র‍্যাব। পরে গুলশান থানায় করা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়।

মামলা হওয়ার দুই মাসের মাথায় গত ৪ অক্টোবর আদালতে পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেয় পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। পরীমনিসহ তিনজনের বিরুদ্ধে দেওয়া অভিযোগপত্রে ১৯ জনকে সাক্ষী করা হয়েছে।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পরীমনির বাসা থেকে জব্দ মাদকদ্রব্যের বৈধ কোনো কাগজপত্র ছিল না। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে সিআইডিকে জানানো হয়, ২০১৯-২০ অর্থবছরে পরীমনির নামে মদজাতীয় পানীয় সেবনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছিল। গত বছরের ৩০ জুন ওই লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। পরীমনি বিভিন্ন স্থান থেকে এ মামলার দুই আসামি আশরাফুল ইসলাম ও কবির হোসেনের মাধ্যমে অবৈধ মাদকদ্রব্য সংগ্রহ করে বাসায় রেখেছিলেন। মাদকদ্রব্য রাখার বিষয়ে তিনি কোনো সন্তোষজনক জবাব দিতে পারেননি। পরীমনি তাঁর গাড়িটি মাদকদ্রব্য বহনের কাজে ব্যবহার করতেন।