পরীমনিসহ অন্যদের ১৫ মামলার তদন্ত শেষ পর্যায়ে: সিআইডি

পরীমনি, হেলেনা জাহঙ্গীরসহ অন্যদের নামে থাকা ১৫টি মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে বলে জানিয়েছে সিআইডি
ফাইল ছবি

চিত্রনায়িকা পরীমনি, আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা হেলেনা জাহাঙ্গীরসহ বিভিন্নজনের নামে থাকা ১৫টি মামলার তদন্তকাজ শেষ পর্যায়ে বলে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) জানিয়েছে।

সিআইডির প্রধান মাহবুবুর রহমান জানিয়েছেন, মামলাসংশ্লিষ্ট রাসায়নিক ও ফরেনসিক প্রতিবেদন পাওয়া সাপেক্ষে এক থেকে দেড় মাসের মধ্যেই আদালতে প্রতিবেদন জমা দেওয়া শুরু হবে। নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে আজ মঙ্গলবার দুপুরে তিনি এ তথ্য জানান।

সিআইডির প্রধান আরও জানিয়েছেন, আসামিদের অপরাধলব্ধ আয় আছে কি না, সেটিও যাচাই–বাছাই করছে সিআইডি। বেশ কয়েকজন আসামির আর্থিক হিসাব জানার জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক বরাবর চিঠি দেওয়া হয়েছে।

চিত্রনায়িকা পরীমনিকে তিন দফা রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন প্রসঙ্গে সিআইডির প্রধান সাংবাদিকদের আরও বলেন, মামলার তদন্তের স্বার্থেই পরীমনিকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করা হয়। পরীমনির দেওয়া তথ্যে বেশ কিছু অসংগতি পাওয়া গিয়েছিল। এসব তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের জন্য পুনরায় পরীমনিকে রিমান্ডে নিতে আবেদন করা হয়।

গত ২৯ জুলাই গুলশানের বাসা থেকে আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেত্রী হেলেনা জাহাঙ্গীরকে বিদেশি মদসহ গ্রেপ্তার করার কথা জানায় র‍্যাব। এরপর ১ আগস্ট বারিধারা ও মোহাম্মদপুরে অভিযান চালিয়ে কথিত মডেল ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও মরিয়ম আক্তার মৌকে ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)। পরে রাজধানীর বসুন্ধরা এলাকা থেকে শরফুল হাসান ও মাসুদুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব।

৪ আগস্ট পরীমনিকে তাঁর বনানীর বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। একই দিন প্রযোজক নজরুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসব আসামির বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, বিশেষ ক্ষমতা আইন, পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন ও অস্ত্র নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়। এসব মামলায় আদালতের অনুমতি নিয়ে চিত্রনায়িকা পরীমনিসহ অন্য আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিআইডি। ফারিয়া মাহবুব পিয়াসা ও হেলেনা জাহাঙ্গীর আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।