পল্লবীতে সাহিনুদ্দিনকে হত্যায় স্বীকারোক্তি দিলেন সুমন

এখন পর্যন্ত এ হত্যা মামলায় লক্ষ্মীপুর-১ আসনের সাবেক সাংসদ ও তরীকত ফেডারেশনের সাবেক মহাসচিব এম এ আউয়ালসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সাহিনুদ্দিন ১৬ মে বিকেলে সাত বছরের ছেলেকে নিয়ে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বের হন। তাঁর পূর্বপরিচিত সুমন ব্যাপারী ও টিটু মুঠোফোনে সাহিনুদ্দিনকে পল্লবীর ডি-ব্লকে ডাকেন জমিজমা নিয়ে বিবাদ মীমাংসার জন্য। সাহিনুদ্দিন সেখানে গেলে সুমন ব্যাপারী লাথি মেরে মোটরসাইকেল থেকে তাঁকে ফেলে দেন। এরপর ছেলের সামনেই তাঁকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।

সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায়, পল্লবীর ডি-ব্লকের ৩১ নম্বর রোডে দুই তরুণ দুই পাশ থেকে এক ব্যক্তিকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাচ্ছেন। একপর্যায়ে ওই ব্যক্তি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। এরপর হামলাকারীদের একজন চলে যান। অন্যজন ওই ব্যক্তির ঘাড়ে কোপাতে থাকেন মৃত্যু হওয়া পর্যন্ত। নিহত ব্যক্তি হলেন পল্লবী এলাকার যুবক সাহিনুদ্দিন।

এ ঘটনায় সাহিনুদ্দিনের মা আকলিমা বেগম বাদী হয়ে সাবেক সাংসদ আউয়ালসহ ২০ জনের নাম উল্লেখ করে পল্লবী থানায় হত্যা মামলা করেন।
পরে পুলিশ ফুটেজ দেখে একজনকে মানিক ও অন্যজনকে মনির বলে শনাক্ত করেন। গত বৃহস্পতিবার গভীর রাতে রূপনগর থানার ইস্টার্ন হাউজিংয়ে র‍্যাবের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মানিক নিহত হন। আর গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সোয়া দুইটার দিকে সাগুফতা হাউজিং এলাকায় পুলিশের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের ‘গোলাগুলির’ সময় মনির নিহত হন।

পল্লবীর ১২ নম্বর সেকশনের বুড়িরটেকে (আলীনগর) সাহিনুদ্দিন ও তাঁদের স্বজনদের ১০ একর জমি রয়েছে। আশপাশের কিছু জমি দখল করে সেখানে হ্যাভেলি প্রোপার্টিজ ডেভেলপার লিমিটেড নামের আবাসন প্রকল্প গড়ে তোলেন আউয়াল।

সাহিনের মা আকলিমা বেগমের অভিযোগ, তাঁদের জমি দখলে ব্যর্থ হয়ে আউয়াল ভাড়াটে সন্ত্রাসী দিয়ে সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন। তিনি বলেন, গত বছরের নভেম্বরেও সন্ত্রাসীরা সাহিনকে কুপিয়ে আহত করেছিল। সেই ঘটনায় করা মামলায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করেনি। উল্টো আউয়ালের দেওয়া মিথ্যা মামলায় সাহিনুদ্দিনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। সপ্তাহখানেক আগে সাহিনুদ্দিন জামিনে মুক্তি পান।