পিছিয়ে পড়া নারী ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের অনুদান দিল দক্ষিণ সিটি

নারীদের হাতে প্রতীকী খাম তুলে দেওয়া হয়। মূলত অনুদানের এই অর্থ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়ছবি: সংগৃহীত

করোনাকালে পিছিয়ে পড়া ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে ১৮০ জন নারীকে একটি প্রকল্পের মাধ্যমে ১৮ লাখ টাকার আর্থিক অনুদান দিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। ব্যবসায়িক মূলধন হিসেবে প্রত্যেক নারীকে ১০ হাজার টাকা দেওয়া হয়েছে।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর ডেমরার রানীমহল মিলনায়তনে একটি অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আর্থিক অনুদান হস্তান্তর করেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। ‘প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন’ শীর্ষক এই প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। এই প্রকল্প বাস্তবায়নের টাকা দিয়েছে ইউএনডিপি।

অনুষ্ঠানে শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, ‘আমি যখন দায়িত্বভার গ্রহণ করি তখন দেখলাম, প্রকল্পের সুবিধাভোগীদের মধ্যে অনেকেই ঢাকাবাসী ছিলেন না। কিন্তু প্রকল্পের আওতাধীন এলাকা যেহেতু দক্ষিণ সিটি করপোরেশন, তাই ঢাকাবাসী নন এবং ঢাকার ভোটার নন, এমন অনেককেই তালিকা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। কারণ, প্রকৃত প্রাপ্যতা যাঁদের রয়েছে, শুধু তাঁদেরকেই আমরা প্রকল্পের উপকারভোগী হিসেবে দেখতে চাই। সেটি নিশ্চিত করতে এই কার্যক্রমে আমরা কাউন্সিলরদের সম্পৃক্ত করেছি।’

অনুষ্ঠানে ঢাকা দক্ষিণ সিটির ৬৭, ৬৮ ও ৬৯ নম্বর ওয়ার্ডের ১৮০ জন নারীর মধ্যে এই অনুদান বিতরণ করা হয়। এই অর্থ তাঁদের মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে দেওয়া হয়। ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের মধ্যে করোনাকালে যাঁরা বিপাকে পড়েছেন, তাঁদের মধ্যে এই টাকা বিতরণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির জনসংযোগ কর্মকর্তা মো. আবু নাছের।

এর আগে দক্ষিণ সিটির মেয়র তাপস সাপ্তাহিক নিয়মিত পরিদর্শন কার্যক্রমের অংশ হিসেবে শাহবাগের ফুল মার্কেট, বাসাবো বৌদ্ধমন্দির থেকে কালীবাড়ি পর্যন্ত সংযোগ সড়ক, নন্দীপাড়া-কদমতলা খাল পরিদর্শন করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সাংসদ কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা আরিফুল হক, সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ডগুলোর কাউন্সিলর প্রকল্পটির টাউন ম্যানেজার সোহেল ইকবাল উপস্থিত ছিলেন।