পুলিশি পাহারায় ফুলবাড়িয়া মার্কেটে দ্বিতীয় দিনের উচ্ছেদ অভিযান শুরু

অভিযান শুরুর আগেই দোকান থেকে মালামাল সরিয়ে নিচ্ছেন ব্যবসায়ীরা। আজ বেলা সাড়ে ১১টায় গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপারমার্কেট-২-এর সামনে থেকে তোলা ছবি
তানভীর আহাম্মেদ

নকশাবহির্ভূত দোকান উচ্ছেদে রাজধানীর গুলিস্তানের ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ দ্বিতীয় দিনের মতো অভিযান চালাচ্ছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি)। আজ বুধবার দুপুর সোয়া ১২টা থেকে তিনজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে এই অভিযান শুরু হয়েছে। আজকের অভিযানে পার্কিংয়ের জায়গায় গড়ে ওঠা দোকানগুলো ভেঙে ফেলা হবে।

ডিএসসিসির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রথম আলোকে বলেন, সনাতন পদ্ধতিতে ভাঙা শুরু হয়। পরে তিনটি এক্সকাভেটর এসে যুক্ত হয়। অভিযানকে কেন্দ্র করে আজও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের ঘটনাস্থলে রাখা হয়েছে।

এদিকে পার্কিংয়ে যেসব দোকানি এত দিন ব্যবসা করে আসছিলেন, তাঁদের অনেককেই সকাল থেকে নিজ উদ্যোগে মালামাল সরিয়ে নিতে দেখা গেছে।

গতকাল মঙ্গলবার থেকে ফুলবাড়িয়া মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান শুরু করে ডিএসসিসি। প্রায় চার ঘণ্টার অভিযানে ২৫০টি দোকান উচ্ছেদ করা হয়। বিক্ষুব্ধ দোকানিরা প্রথমে অভিযান চালাতে দেননি। পুলিশ ও করপোরেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ওপর তাঁরা ইটপাটকেল ছুড়তে থাকেন। পরে কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে পুলিশ।

ডিএসসিসির কর্মকর্তারা বলছেন, ফুলবাড়িয়া সুপার মার্কেট-২-এ নকশার মধ্যে মাত্র ৫৩১টি দোকান রয়েছে। দুই যুগেরও বেশি সময় আগ থেকে ওই বিপণিবিতানের গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গা, শৌচাগারের জায়গা, ফুটপাত থেকে শুরু করে যত্রতত্র দোকানপাট নির্মাণ করা হয়। ১৯৯৬ সালে গাড়ি পার্কিংয়ের জায়গায় নির্মিত দোকানগুলোকে অস্থায়ী বরাদ্দ দেওয়ার কার্যক্রম শুরু করে করপোরেশন। সবশেষ ২০১২ সালে ফুটপাতসহ বিভিন্ন জায়গায় গড়ে ওঠা নকশাবহির্ভূত দোকানগুলোকে অস্থায়ী বরাদ্দ দেওয়া হয়।

এই বিপণিবিতানে নকশাবহির্ভূত ৯১১টি দোকান পাওয়া গেছে। এ জন্য পূর্বঘোষণা অনুযায়ী এই অভিযান চালানো হচ্ছে।

ডিএসসিসির রাজস্ব বিভাগের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বলেন, অস্থায়ী দোকান বরাদ্দের ক্ষেত্রে অন্যতম শর্ত হলো করপোরেশন চাইলে যেকোনো সময় তা উচ্ছেদ করতে পারবে। এ জন্য নিয়ম মেনেই তাঁরা অভিযান চালিয়েছেন। কিন্তু দোকানিদের দাবি, তাঁরা অস্থায়ী বরাদ্দ পাওয়ার পর নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধের পাশাপাশি মার্কেট কমিটির নেতাদের লাখ লাখ টাকা দিয়েছেন। কমিটি ও আগের মেয়রের সময় কর্মকর্তারা তাঁদের আশ্বাস দিয়েছিলেন, অতিরিক্ত টাকা দিলে এসব দোকান যাতে ভাঙা না পড়ে, সে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।