বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাতে নাকাল রাজধানীবাসী

রাজধানীতে সকাল থেকে তীব্র গরমের পর বিকেলে বৃষ্টি শুরু হয়। বৃষ্টি থেকে রক্ষা পেতে নিরাপদে ছুটছে মানুষ। আজ মঙ্গলবার বিকেলে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সামনে।ছবি: আশরাফুল আলম

সকাল থেকে রাজধানীসহ দেশের বেশির ভাগ এলাকা খরতাপে পুড়েছে। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল দাবদাহের কাছাকাছি, প্রায় ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যশোরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছিল। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতে না হতে আকাশের রং পাল্টে যায়। কালো মেঘে ঢেকে গিয়ে রাজধানীজুড়ে নামল অঝোরধারায় বৃষ্টি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের হিসাব বলছে, আজ মঙ্গলবার বিকেল চারটা থেকে সন্ধ্যা ছয়টা পর্যন্ত রাজধানীতে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। আর তাতেই রাজধানীর বেশির ভাগ সড়কজুড়ে জলাবদ্ধতা আর অনেক স্থানে হাঁটুপানি জমে যায়।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ রাজধানীতে বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে। এর আগে ১৫ মে রাজধানীতে ৪৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছিল। তবে আজ বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীর মতো দমকা হাওয়া বয়ে যায়। বিমানবন্দর এলাকায় বাতাসের গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৪৭ কিলোমিটার। তবে তা দুই মিনিটের মতো স্থায়ী ছিল। এরপর থেমে থেমে বৃষ্টির সঙ্গে বাতাস বয়ে যায়।

রাজধানীতে আজ বছরের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত হয়েছে
ছবি: প্রথম আলো

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ রুহুল কুদ্দুস প্রথম আলোকে বলেন, কাল বুধবারও রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। তারপর আগামী কয়েক দিন বৃষ্টি কমে গরম বাড়তে পারে। ২৩ মে বঙ্গোপসাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে, যেটি নিম্নচাপ হয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

এদিকে বৃষ্টিপাতের কারণে রাজধানীর কারওয়ান বাজার, ধানমন্ডি, মিরপুর, পুরান ঢাকাসহ অনেক এলাকায় রাত পর্যন্ত পানি জমে থাকে। এতে স্থানীয় অধিবাসীসহ রাজধানীবাসীর ভোগান্তি বেড়ে যায়। অনেককে বৃষ্টিতে কাকভেজা হয়ে বাড়িতে ফিরতে হয়। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অনেক স্থানে পানি জমে ছিল।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, কাল দেশের দক্ষিণ–পশ্চিম অঞ্চলে দাবদাহ বয়ে যেতে পারে। দেশের অন্যান্য অঞ্চলে দমকা হাওয়াসহ বজ্রবৃষ্টি হতে পারে। মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে সিলেটে ৬৭ মিলিমিটার।