বাড্ডার স্কুল রোড এখন জনদুর্ভোগের কারণ

বাড্ডা এলাকার ‘স্কুল রোডে’ চলতে গিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তাটি স্থানীয়ভাবে ফজিলাতুন্নেছা স্কুল রোড নামে পরিচিত।
গুলশানের মধ্য ও দক্ষিণ বাড্ডা এলাকার সংযোগ রাস্তা হিসেবে ব্যবহৃত হয় স্কুল রোডটি। বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণির পাশে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের বাড্ডা শাখা থেকে শুরু হয়ে দক্ষিণ বাড্ডা পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়েছে রাস্তাটি। রাস্তার পাশে কিছুদূর পরপর চারটি স্কুল ও অন্যান্য বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্কুল রোডের পাশেই রয়েছে বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ব্রুনেট ইন্টারন্যাশনাল টিউটোরিয়াল, সবুজ সেনা প্রি-ক্যাডেট স্কুল ও ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়। এ কারণে রাস্তাটি স্থানীয়ভাবে ‘স্কুল রোড’ নামে পরিচিতি পেয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, স্কুল রোডটির চেয়ারম্যান বাড়ির মোড় থেকে বাড্ডা সরকারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতির অফিস পর্যন্ত অংশ বাদ দিয়ে পুরো রাস্তা ভাঙা। রাস্তাটির কোথাও বিটুমিন কার্পেট উঠে গেছে। কোথাও সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। একটু বৃষ্টি হলেই বিটুমিন কার্পেট উঠে যাওয়া অংশে পানি জমে কাদার সৃষ্টি হয়। এর মাঝে বাড্ডা আলাতুন্নেছা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সামনের অংশ বেশি খারাপ। তাই স্কুল রোডটিতে চলতে গিয়ে প্রতিনিয়ত দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের। রাস্তাটি দক্ষিণ ও মধ্য বাড্ডা এলাকার সংযোগ সড়ক হওয়াতে দুই এলাকার লোকজনকেই ব্যবহার করতে হয় রাস্তাটি। এই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে স্থানীয় দক্ষিণ ও মধ্য বাড্ডা এলাকার বাসিন্দাদের সন্তানেরই বেশি পড়াশোনা করে থাকে। এ ছাড়া প্রধান সড়ক বীর উত্তম রফিকুল ইসলাম সরণি বাদে আর কোনো বিকল্প ব্যবস্থা না থাকায় বাধ্য হয়েই রাস্তাটি ব্যবহার করতে হচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দাদের। স্থানীয় বাসিন্দা ও স্কুলে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে রাস্তাটির সংস্কার না হওয়ায় তাদের এ দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
রাস্তাটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। ওয়ার্ড কাউন্সিলর ওসমান গনি ব্যস্ততার কারণ দেখিয়ে কথা বলতে রাজি হননি। এরপর তাঁর মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি।