বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার স্থান পরিবর্তন

করোনার নমুনা পরীক্ষা
প্রতীকী ছবি

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা এখন থেকে হবে কার পার্কিং ভবনের দ্বিতীয় তলায়। সেখানে স্থায়ীভাবে একটি পরীক্ষাগার বসানো হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের শুধু যাত্রার ৬ ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষা করাতে হয়। করোনার নমুনা সংগ্রহ থেকে পরীক্ষার ফলের প্রতিবেদন পাওয়া পর্যন্ত সব হবে এখান থেকে। আজ শনিবার সন্ধ্যা সাতটা থেকে এখানে পরীক্ষা শুরু হয়েছে।

আজ রাতে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ প্রথম আলোকে এসব তথ্য জানিয়েছে। বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন তৌহিদ-উল আহসান বলেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে যেতে শাহজালাল বিমানবন্দরে যে করোনা পরীক্ষা করা হয়, তার স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে।

বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শাহজালাল বিমানবন্দরে এত দিন করোনা পরীক্ষা হতো ভেতরে। সংযুক্ত আরব আমিরাতগামী যাত্রীদের জন্য যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে এ পরীক্ষা করে নেগেটিভ সনদ নিতে হয়। যাত্রার আগে এ পরীক্ষা করাতে যাত্রীদের অন্তত ১০ বার বিভিন্ন জায়গায় লাইনে দাঁড়াতে হয়। সে সমস্যা নিরসনে নতুন করে স্থায়ীভাবে পরীক্ষাগার স্থাপন করা হয়েছে। নমুনা সংগ্রহের জন্য এখানে ১৪টি বুথ রয়েছে। শৌচাগার আছে। ব্যাগ রাখার ব্যবস্থা আছে। নিবন্ধনের আগে ও পরে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষাগারও রয়েছে। রয়েছে ফুড কর্নার।

বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার ফল দিতে অনেক সময় দেরি হতো। এতে যাত্রীরা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে বোর্ডিং কাউন্টারে পৌঁছাতে পারতেন না। এ ধরনের বিলম্বের কারণে গত ৪ অক্টোবর দিবাগত রাতে ৮০ জন যাত্রী সময়মতো ফ্লাইট ধরতে পারেননি।

গেল আগস্টে সংযুক্ত আরব আমিরাত সে দেশে যেতে যাত্রার ছয় ঘণ্টা আগে বিমানবন্দরে করোনা পরীক্ষার শর্ত আরোপ করে। অথচ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তা ছিল না। দেশের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরগুলোতে দ্রুত করোনার পরীক্ষাগার স্থাপনের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে দাবি জানিয়ে আসছিলেন প্রবাসীরা। গত ১৪ সেপ্টেম্বর এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নিচে প্রবাসীরা প্রতিবাদও করেন।

প্রবাসীদের এ দাবির পরিপ্রেক্ষিতে প্রথমে বিমানবন্দরে পার্কিং ভবনের ছাদে করোনার পরীক্ষাগার স্থাপনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। তবে এতে আপত্তি ছিল পরীক্ষাগার স্থাপনে নির্বাচিত প্রতিষ্ঠানগুলোর। এই সংকট নিরসনে পরে বিমানবন্দরের ভেতরেই অস্থায়ীভাবে পরীক্ষাগার বসানো হয়।

৬ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিসভার বৈঠকে শাহজালাল বিমানবন্দরসহ দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে করোনার পরীক্ষার ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেওয়া হয়। সে নির্দেশের ১৬ দিন পর ২২ সেপ্টেম্বর বিমানবন্দরে পরীক্ষামূলকভাবে করোনার পরীক্ষা শুরু হয়।

এদিকে শাহজালাল বিমানবন্দরে করোনার পরীক্ষা চালু হলেও চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও সিলেটের ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আরটি-পিসিআর যন্ত্র বসানো বা করোনা পরীক্ষা চালুর বিষয়ে এখনো কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।