বৃষ্টির পরে ডেঙ্গু নিয়ে শঙ্কা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের

ফাইল ছবি

কয়েক দিন ধরে চলা বৃষ্টির পানি জমে ডেঙ্গুর রোগবাহী এডিস মশা বিস্তারের সুযোগ আছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের আজ রোববারের নিয়মিত ভার্চ্যুয়াল বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা জানানো হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (রোগনিয়ন্ত্রণ) অধ্যাপক মো. নাজমুল ইসলাম আজ বেলা সোয়া দুইটায় বুলেটিনে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন।

নাজমুল ইসলাম বলেন, ‘এখন যে বৃষ্টি হচ্ছে, তা থামলে পানি জমে থাকার সুযোগ আছে। জমে থাকা পানিতেই এডিস মশার বিস্তার হয়। আমরা যদি বাসাবাড়ি বা বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা মেনে না চলি, তবে মশার বংশবিস্তার রোধ করা যাবে না।’

নাজমুল ইসলাম আরও জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় ঢাকায় ১২৪ জন ডেঙ্গু রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ঢাকার বাইরের আছেন ৩৫ জন। তবে তিনি বলেন, বর্ষার পর ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ কমে এসেছে। তিনি বলেন, দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিকের কাছাকাছি চলে এসেছে। গত সপ্তাহে ১ হাজার ৪৪৩ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। এটি আগের সপ্তাহের তুলনায় ৪ দশমিক ২ শতাংশ কম। গত সপ্তাহে করোনায় মারা গেছেন ২৭ জন। এ সংখ্যা আগের সপ্তাহের তুলনায় ৭ শতাংশ কম।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উপাত্ত তুলে ধরে আজকের ব্রিফিংয়ে জানানো হয়, এ পর্যন্ত সারা বিশ্বে ২৫ কোটির বেশি মানুষের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মারা গেছেন ৫০ লাখ ৭০ হাজারের বেশি মানুষ।

নাজমুল আরও বলেন, সাত দিন ধরে দেশে করোনা সংক্রমণের হার ২ শতাংশের নিচে আছে। এক মাস ধরে করোনা সংক্রমণের প্রবণতা নিম্নমুখী। এ ক্ষেত্রে একটি স্থিতি অবস্থা বজায় আছে। তিনি জানান, দেশের শীর্ষ ১০ সংক্রমণ জেলার মধ্যে ঢাকা জেলায় সর্বোচ্চ ৫ লাখ ২৭ হাজার ৭৫০ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
করোনা পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিকল্প নেই বলে জানান নাজমুল ইসলাম। তিনি বলেন, টিকা গ্রহণ, মাস্ক পরার মতো জরুরি স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলতেই হবে।