বেসরকারি পাঠাগারকে সামাজিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে: মফিদুল হক

পাঠাগার গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় গবেষক ও সাংবাদিক কাজী আলিম-উজ-জামানকে সম্মাননায় ভূষিত করে দনিয়া পাঠাগার। মফিদুল হক তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন
ছবি: প্রথম আলো

বিশিষ্ট লেখক ও মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক বলেছেন, দেশের বেসরকারি পাঠাগারগুলোকে একধরনের বিকল্প সামাজিক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হতে হবে। এই শক্তির বলেই এগুলোকে পথ চলতে হবে। সব কাজে, সব পরিস্থিতিতে সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকলে চলবে না। সরকার বা রাষ্ট্র এ ক্ষেত্রে একটা সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে।

শনিবার দুপুরে ‘বই, পাঠাগার ও পাঠক’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় মফিদুল হক এসব কথা বলেন। রাজধানীর দনিয়া পাঠাগারের ৩২ বছর পূর্তি উপলক্ষে পাঠাগারের স্টুডিও থিয়েটার হলে এ সভার আয়োজন করা হয়। আলোচনা সভায় ঢাকার ১১টি বেসরকারি পাঠাগারের প্রতিনিধিরা যোগ দেন।

সভার শুরুতে পাঠাগার গবেষণায় বিশেষ অবদান রাখায় গবেষক ও সাংবাদিক কাজী আলিম-উজ-জামানকে সম্মাননায় ভূষিত করে দনিয়া পাঠাগার। মফিদুল হক তাঁর হাতে সম্মাননা স্মারক তুলে দেন।

এরপর ১১টি পাঠাগারের প্রতিনিধিরা পাঠাগার পরিচালনায় তাঁদের অভিজ্ঞতা, বেসরকারি পাঠাগারের দায়িত্বে থাকা জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্রের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন। পাঠাগারকে সক্রিয় করতে দেশের লেখক ও প্রকাশকদের নিবিড় ভূমিকা থাকা উচিত বলে তাঁরা মত প্রকাশ করেন।

প্রধান আলোচকের বক্তৃতায় মফিদুল হক আরও বলেন, ‘ঢাকার বেসরকারি পাঠাগারগুলো অংশীদারত্বের একটা বড় ক্ষেত্র তৈরি করছে, যা বাস্তবিকভাবেই কার্যকর। আমি খুবই আশাবাদী যে আমরা নিজেরা যদি কাজ করি ও সে কাজগুলো দৃশ্যমান করতে পারি, তবে একটা পরিবর্তন আসবে।’

আলোচনা সভায় ঢাকার ১১টি বেসরকারি পাঠাগারের প্রতিনিধিরা যোগ দেন
ছবি: প্রথম আলো

যে ১১টি পাঠাগারের প্রতিনিধিরা আলোচনা সভায় অংশ নেন, সেগুলো হলো গ্রন্থবিতান, সীমান্ত গ্রন্থাগার, শহীদ বাকী স্মৃতি পাঠাগার, আজিমপুর গণপাঠাগার, বেরাইদ গণপাঠাগার, কামাল স্মৃতি পাঠাগার, দনিয়া পাঠাগার, সৃষ্টি পাঠোদ্যান, শহীদ রুমী স্মৃতি পাঠাগার, অনির্বাণ পাঠাগার ও জ্ঞানবীক্ষণ।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন দনিয়া পাঠাগারের সভাপতি মো. শাহনেওয়াজ। সভা সঞ্চালনা করেন শেখ এরফান।