ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে আরও গ্রেপ্তার ৩

পারভেজ মিয়া, দেলোয়ার হোসেন ও রবিউল আওয়াল
ছবি: সংগৃহীত

পাঁচটি রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকের অফিসার (ক্যাশ) পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত অভিযোগে আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)। গতকাল বুধবার রাতে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার তাঁরা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

এই তিনজন হলেন আহছানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়া, আহসানিয়া প্রিন্টিং প্রেসের অফিস সহায়ক (পিয়ন) দেলোয়ার হোসেন ও কাটিং মাস্টার রবিউল আওয়াল। প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় এ নিয়ে ১১ জনকে গ্রেপ্তার করা হলো।  

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা তেজগাঁও বিভাগের (ডিবি) উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গ্রেপ্তার তিনজন জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তাঁদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে পাঠানো হয়। আদালত তাঁদের জবানবন্দি গ্রহণ করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এ নিয়ে পাঁচজন আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক এবং দুজন পরীক্ষার্থী সাক্ষী হিসেবে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

৬ নভেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংকের অধীন পাঁচটি সরকারি ব্যাংকের ১ হাজার ৫১১টি ‘অফিসার ক্যাশ’ শূন্য পদের নিয়োগ পরীক্ষা বেলা ৩টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত ঢাকার বিভিন্ন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ ওঠে এবং ডিবি ঘটনার ছায়া তদন্ত করে।

ডিবি পুলিশ জানায়, পিয়ন দেলোয়ার পরীক্ষার আগে প্রেসের কাটিং মাস্টার রবিউলকে প্রশ্নপত্র বের করার অনুরোধ করেন। পরে তিনি ল্যাব সহকারী পারভেজ মিয়ার হাতে প্রশ্নপত্র তুলে দেন। ওই সময় তাঁর সঙ্গে আহছানউল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের টেকনিশিয়ান মোক্তারুজ্জামানও ছিলেন। তিনিও এখন গ্রেপ্তার আছেন। প্রশ্নপত্র ফাঁস করে দেলোয়ার ও রবিউল ৪৪ থেকে ৫০ হাজার টাকা করে পেয়েছেন। চক্রের সদস্যরা এর আগেও চারবার ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফাঁস করেছেন।

ডিবি কর্মকর্তারা বলেন, আহছানউল্লাহর কর্মীদের যোগসাজশে কয়েকটি ব্যাংকের কর্মকর্তারা ব্যাংকে নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসে জড়িত।