মশা ঠেকাতে মশারি দিচ্ছে ঢাকা উত্তর সিটি

প্রথম আলো ফাইল ছবি

মশার কামড় থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় দেড় হাজার মশারি বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)। আপাতত দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ মশারি বিতরণ করা হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরদের মশারি বিতরণের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।  

ঢাকা উত্তর সিটির সূত্র বলছে, গত বুধবার স্বাস্থ্য বিভাগ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান স্বাক্ষরিত নোটিশে বলা হয়, মশার প্রকোপ বেড়ে যাওয়ার কারণে মশারি বিতরণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। ডিএনসিসির ভান্ডার ও ক্রয় বিভাগে মজুত থাকা এ মশারিগুলো দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের দেওয়া হবে।

প্রতিটি ওয়ার্ডে ২০টি করে মশারি বরাদ্দ করা হয়েছে। সাধারণ ওয়ার্ড ও সংরক্ষিত ওয়ার্ড মিলিয়ে মোট ৭২টি ওয়ার্ডে বিতরণ করা হবে ১ হাজার ৪৪০টি মশারি। কাউন্সিলররা ভান্ডার শাখা থেকে মশারিগুলো সংগ্রহ করে বিতরণের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।
এ সিদ্ধান্তের বিষয়ে একাধিক ওয়ার্ড কাউন্সিলরের সঙ্গে কথা হয় প্রথম আলোর।

কাউন্সিলররা বলেছেন, সম্প্রতি কিউলেক্স মশার প্রকোপ অনেক বেড়ে গেছে। মশা নিধনে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়ার উদ্যোগ নিতে আলোচনা হয়েছিল। মশারি চাওয়া হয়নি। মশারি বিতরণ করলে হয়তো কিছু পরিবার বা লোকের উপকার হবে। তবে সামগ্রিকভাবে মশার যন্ত্রণা থেকে নগরবাসীর মুক্তি মিলবে না।

ডিএনসিসির ৪ নম্বর ওয়ার্ডের (মিরপুর-১৩) কাউন্সিলর জামাল মোস্তফা বলেছেন, তিনি মশারি হাতে পেয়েছেন। তবে ঢাকার বাইরে থাকায় এখনো বিতরণ করা সম্ভব হয়নি। ঢাকায় ফিরেই মশারিগুলো বিতরণ করবেন। তবে বরাদ্দ দেওয়া মশারি অপর্যাপ্ত উল্লেখ করে তিনি বলেন, অনেক দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থী আছেন; যাঁদের মশারি প্রয়োজন, কিন্তু দেওয়া হচ্ছে ২০টি। এ জন্য বরাদ্দকৃত মশারির সঙ্গে ব্যক্তিগত অর্থায়নে আরও কিছু মশারি যোগ করে বিতরণের উদ্যোগ নেবেন তিনি।

ডিএনসিসির প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল জোবায়দুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, মেয়র কিছু মশারি অনুদান পেয়েছিলেন। ওই মশারিগুলো প্রতিটি ওয়ার্ডের কাউন্সিলরকে দেওয়া হচ্ছে।

সাধারণত বর্ষা মৌসুমে ডেঙ্গুর প্রকোপ দেখা দিলেও, শুকনা মৌসুমে এসেও অনেকে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, জানুয়ারি মাসে এখন পর্যন্ত ১০৪ জন ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁদের বেশির ভাগই রাজধানীর বাসিন্দা। বর্তমানে ঢাকার বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতালে ২১ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।