‘মূল রহস্য’ খুঁজে দায়ীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি নুরুলের

ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক
ফাইল ছবি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাসেম ফুড কারখানায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের সমন্বয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করে ‘মূল রহস্য’ খুঁজে বের করে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন ডাকসুর সাবেক ভিপি এবং ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক নুরুল হক৷

আজ শনিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নুরুল এই দাবি জানান৷ গত বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে পাঁচটার দিকে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের ভুলতায় জুস কারখানা হাসেম ফুড অ্যান্ড বেভারেজেস লিমিটেডের ছয়তলা ভবনের নিচতলায় আগুন লাগে৷ পরে তা ছড়িয়ে পড়ে৷ এই ঘটনায় এ পর্যন্ত ৫২ জন নিহত হয়েছেন৷

নুরুল বলেন, প্রায় প্রতিবছর বিভিন্ন আবাসিক ও বাণিজ্যিক ভবন ও শিল্পকারখানায় এমন মর্মান্তিক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও এসব প্রতিরোধে সরকারের তেমন সময়োপযোগী ও ফলপ্রসূ পদক্ষেপ লক্ষ করা যায়নি৷ ঘটনা ঘটলে শুধু দায়সারা তদন্ত কমিটি গঠন ও নামমাত্র ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মধ্যেই সরকারের কাজ সীমাবদ্ধ থাকে৷ এ কারণেই সড়ক দুর্ঘটনা ও অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনা বারবার ঘটছে এবং জনজীবনে বিপর্যয়ের পাশাপাশি দেশের আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে৷

অগ্নিকাণ্ডে নিহত প্রত্যেকের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে ন্যূনতম ২০ লাখ ও আহতদের চিকিৎসার ব্যয়ভার বহনসহ ন্যূনতম ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার দাবি জানান তিনি। একই সঙ্গে কর্মক্ষেত্রে শ্রমিকদের নিরাপদ পরিবেশ ও সুরক্ষা নিশ্চিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার জোরালো দাবিও জানান।

নারায়ণগঞ্জের এই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় বিচার বিভাগীয় তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে তিনটি বামপন্থী ছাত্রসংগঠনের মোর্চা প্রগতিশীল ছাত্রজোটও৷ আগুনে পুড়ে শ্রমিক হত্যাকাণ্ডের বিচার ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে আজ দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে তারা একটি সমাবেশ করে৷ জোটের সমন্বয়ক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (মার্ক্সবাদী) কেন্দ্রীয় সভাপতি মাসুদ রানার সভাপতিত্বে ও দপ্তর সম্পাদক সালমান সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় এই সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্টের (বাসদ) কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন, বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সহসাধারণ সম্পাদক খায়রুল আলম বক্তব্য দেন৷

সমাবেশ থেকে নারায়ণগঞ্জে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এবং কারখানার মালিককে অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও বিচারের আওতায় আনার দাবি জানান ছাত্রজোটের নেতারা। উল্লেখ্য, এরই মধ্যে গ্রুপের চেয়ারম্যান, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাসহ (সিইও) ৮ জনকে আদালতের মাধ্যমে চার দিনের রিমান্ডে পেয়েছে পুলিশ।