রাজধানীতে প্রায় ৩০ হাজার টন বর্জ্য পরিষ্কার

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম। আজ সোমবার গুলশানের নগরভবনে
ছবি: সংগৃহীত

ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন এলাকা থেকে প্রায় ৩০ হাজার টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই কোরবানির বর্জ্য পরিষ্কার করার দাবি করেছে দুই সিটি করপোরেশন।

ঈদের আগে ঢাকা উত্তরের মেয়র ১২ ঘণ্টার মধ্যে এবং দক্ষিণের মেয়র ২৪ ঘণ্টার মধ্যে কোরবানির বর্জ্য অপসারণের ঘোষণা দিয়েছিলেন।

ডিএনসিসির কোরবানির বর্জ্য অপসারণসংক্রান্ত বিষয়ক তথ্য তুলে ধরতে আজ সোমবার গুলশানে নগর ভবনে সংবাদ সম্মেলন আয়োজন করা হয়। এতে জানানো হয়, ঈদের দিন বেলা ১১টা থেকে আজ বেলা ১১টা পর্যন্ত ১৯ হাজার ২২৩ মেট্রিক টন বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম বলেন, পূর্বঘোষিত ১২ ঘণ্টার আগেই ঢাকা উত্তর সিটির কোরবানির বর্জ্য শতভাগ অপসারণ করা সম্ভব হয়েছে। সচেতন নাগরিকদের সহযোগিতায় এটি করা সম্ভব হয়েছে।

ডিএনসিসির মেয়র বলেন, ঈদের দিন ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাতটি নির্দিষ্ট স্থানে প্রায় ছয় হাজার পশু কোরবানি দেওয়া হয়েছে। এতে দুপুরের মধ্যেই ওই ওয়ার্ডের শতভাগ বর্জ্য অপসারণ করা হয়। এ বছর কোরবানির বর্জ্য অপসারণে ডিএনসিসির ৭ নম্বর ওয়ার্ড প্রথম হওয়ায় পুরস্কার হিসেবে সেখানে বরাদ্দ বাড়িয়ে দেওয়া হবে বলে জানান মেয়র আতিকুল।

গতকাল বেলা দুইটার দিকে সাঈদনগরে বসানো পশুর হাট পরিষ্কারের মধ্য দিয়ে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য অপসারণ কার্যক্রম বেলা দুইটায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হয়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা আবু নাছের বলেন, গতকাল বিকেল পর্যন্ত ১০ হাজার ৫০৪ টন কোরবানির পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে। দুই সিটি করপোরেশন এখন পর্যন্ত ২৯ হাজার ৭২৭ টন কোরবানির বর্জ্য অপসারণ করা হয়েছে।

ঈদ উপলক্ষে সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের পরিচ্ছন্নতাকর্মীসহ সবার ছুটি বাতিল করা হয়েছে। বর্জ্য অপসারণে প্রায় ১৯ হাজার পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাজ করেছেন।

আজও অনেকে পশু কোরবানি করছেন। সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা আজও পরিচ্ছন্নতা অভিযান চালাচ্ছেন৷

অন্য বছরের তুলনায় নিজ উদ্যোগে কোরবানির বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় রাজধানীবাসী নিজেরাও এবার বেশি সচেতন। সিটি করপোরেশনের দেওয়া পলিব্যাগে কোরবানির পশুর বর্জ্য ভরে রেখে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য রেখে দেন। যাঁরা সিটি করপোরেশনের পলিব্যাগ পাননি, তাঁরা নিজেরা পলিথিন ব্যাগ কিনে বর্জ্য ভরে রাখেন। কোথাও পশুর রক্ত নিজেরাই পরিষ্কার করেন।

এবারের কোরবানি ঈদে ঢাকা উত্তরের বাসিন্দাদের বর্জ্য অপসারণের সুবিধার্থে সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে পাঁচ লাখ পচনশীল পলিব্যাগ বিতরণ করা হয়। দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার পলিব্যাগ বিনা মূল্যে বিতরণ করা হয়।