রাজধানীতে বহুতল ভবনে গুদামের আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে

পাশা টাওয়ার নামে ১০ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় গুদামে আগুন লাগে। পরে তা কয়েকটি তলায় ছড়িয়ে পড়েছবি: প্রথম আলো

রাজধানীর মাতুয়াইলে বাদশা মিয়া রোডে আলোকসজ্জার বাতি ও অন্যান্য সরঞ্জামের গুদামে লাগা আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। রাত ১১টায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সেখানে কাজ করছে।

গুদামটি পাশা টাওয়ার নামের একটি বহুতল ভবনের ষষ্ঠ তলায়। পুরো ভবনটি এনার্জি লাইটিং লিমিটেড নামের প্রতিষ্ঠানের গুদাম।

আজ বিকেল চারটার দিকে গুদাম ছুটি হলে কর্মীরা চলে যান। বিকেল পাঁচটার দিকে ভবনটির ষষ্ঠ তলায় হঠাৎ আগুন লাগে। একপর্যায়ে আগুনের তীব্রতা বেড়ে যাওয়ার তা ওপরের ১০তলা পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল গুদামটি ইলেকট্রনিকস পণ্যের।

ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা জানান, ফায়ার সার্ভিসের ১৪টি ইউনিট সাড়ে পাঁচ ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়েছে। ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে আগুন নির্বাপণের কাজ তদারকি করছেন ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাজ্জাদ হোসেন।  তিনি সাংবাদিকদের বলেন, আশপাশের সড়কগুলো সরু হওয়ায় ফায়ার সার্ভিসের গাড়িগুলোকে ঘটনাস্থলে ঢুকতে বেগ পেতে হচ্ছে।

পাশা টাওয়ার নামে ১০ তলা ভবনের ষষ্ঠ তলায় গুদামে আগুন লাগে
প্রথম আলো

আগুন লাগার পরই ঘটনাস্থলে এসে উপস্থিত হন ভবনটির মালিক জলিল পাশা। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, বিভিন্ন ধরনের আলোক সজ্জার বাল্ব তিনি চীন থেকে আমদানি করে এই ভবনে রাখেন। ঝাড়বাতিসহ আলোকসজ্জার এই বাল্ব বিক্রির জন্য পল্টনসহ রাজধানীতে তাঁর ছয়টি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। এই ভবন নির্মাণে তাঁর অন্তত ১৫ কোটি টাকা খরচ হয়েছে বলে জানান তিনি।

ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের নিয়ন্ত্রণ কক্ষের কর্তব্যরত কর্মকর্তা মাহফুজ রিবেন বলেন, প্রাথমিকভাবে আগুনের সূত্র ও ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সম্পর্কে জানা যায়নি।

পুলিশের ওয়ারী বিভাগের উপকমিশনার শাহ ইফতেখার আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, এটি আবাসিক ভবন নয়। পুলিশ সতর্ক অবস্থায় আছে। আগুনে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।