রাস্তায় যান চলাচল অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কম

কাঁটাবন এলাকায় গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়
ছবি: দীপু মালাকার

করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সারা দেশে দশম দিনের মতো কঠোর বিধিনিষেধ চলছে। আজ শনিবার রাজধানীতে ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, মোটরসাইকেলের চলাচল সপ্তাহের অন্য দিনের তুলনায় কিছুটা কমেছে।

সরেজমিনে আজ দেখা যায়, মিরপুর এলাকার রিকশার সংখ্যা একটু বেশি। বিজয় সরণির চেকপোস্টে পুলিশ মোটরসাইকেল, ব্যক্তিগত গাড়ি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।

জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন না পেয়ে অনেকেই ভোগান্তিতে পড়ছেন। সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর পূর্ব শেওড়াপাড়ায় একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা থামতেই দৌড়ে এলেন মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি। সিএনজিচালিত অটোরিকশা যাবে না, এটা রিজার্ভ, চালক এ কথা বলতেই মুখে চিন্তার ছাপ পড়ে তাঁর। তারপর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পাশে গিয়ে দাঁড়ান।

ওই ব্যক্তি প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। মগবাজারের আদ্‌-দ্বীন হাসপাতালে তাঁর চেকআপ করাতে হবে। এই ভাঙাচোরা রাস্তা দিয়ে রিকশায় করে স্ত্রীকে নিয়ে যাওয়া সম্ভব না। তাই অটোরিকশা খুঁজছি।’ সেখানে প্রায় ১০ মিনিট অপেক্ষা করে দেখা যায়, ওই ব্যক্তি অটোরিকশা না পেয়ে স্ত্রীকে নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন।

সরকার কঠোর বিধিনিষেধ জারি করার পর থেকে রিকশা ছাড়া সব ধরনের গণপরিবহন বন্ধ রাখা হয়েছে। জরুরি প্রয়োজনে অনেকে ব্যক্তিগত গাড়ি নিয়ে বের হচ্ছেন। সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মীদের যাতায়াতের জন্য সিএনজিচালিত অটোরিকশা, বাসসহ বিভিন্ন ধরনের যানবাহন চলাচল করছে। ফলে অনেকেই চিকিৎসার মতো জরুরি প্রয়োজনে যানবাহন না পেয়ে বিপদে পড়ছেন। বিশেষ করে আর্থিক সচ্ছলতা না থাকায় নিম্নবিত্ত ও নিম্ন মধ্যবিত্তের বিপদ একটু বেশি।