সবুজবাগে পুলিশ সদস্যের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর লাশ উদ্ধার

প্রতীকী ছবি

রাজধানীর সবুজবাগ এলাকা থেকে লাবণী আক্তার (৩০) নামের এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শনিবার বিকেলে সবুজবাগের মাদারটেক চৌরাস্তার পাবনা গলির একটি বাসা থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে। লাবণীর স্বামী অভিজিৎ বিশ্বাস একজন পুলিশ সদস্য। তিনি ঢাকা জেলা পুলিশে কর্মরত।
লাবণীর স্বজনেরা জানান, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লাবণীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন অভিজিৎ। এক বছর আগে তাঁরা বিয়ে করেছেন। তার পর থেকে তাঁরা মাদারটেকে পাবনা গলিতে বসবাস করছিলেন।

লাবণীর খালাতো ভাই নূর হোসেনের ভাষ্য, লাবণীর আগে বিয়ে হয়েছিল। তাঁর ১০ বছরের এক মেয়ে রয়েছে। নাম রেহানা আক্তার। তবে সে বেশির ভাগ সময়ই নানির সঙ্গে (লাবণীর খালা) থাকত। গতকাল শুক্রবার রাতেও বাবা-মায়ের ঝগড়া দেখে শিশুটি নানির বাসায় চলে যায়।

আজ সুমাইয়া আক্তার নূর হোসেন বলেন, রেহানা আজ সকালে বাসায় গিয়ে দেখে দরজা বন্ধ। তখন সে পাশের জানালা দিয়ে ঘরের ভেতর মাকে ঝুলতে দেখে চিৎকার শুরু করে। এ সময় আশপাশের সবাই ছুটে আসেন। তখন বাড়ির মালিক সুমাইয়া আক্তার নূর হোসেনকে জানান, গতকাল সন্ধ্যায় স্বামী-স্ত্রী বাজারে যান। সেখানে তাঁদের ঝগড়া হয়। বাসায় ফিরেও রাত সাড়ে আটটার দিকে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হলে তিনি এসে থামান। এরপর আর কিছু জানেন না। সকাল থেকে অভিজিৎকে দেখা যায়নি। লাবণী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

সবুজবাগ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুরাদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। ঘটনার সময় লাবণীর স্বামী অভিজিৎ গ্রামের বাড়িতে ছিলেন। ধারণা করা হচ্ছে, লাবণী আত্মহত্যা করেছেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।