সাত কলেজ: প্রমোশন চান তিন বিষয়ে অকৃতকার্যরা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত হওয়ার পর রাজধানীর সাত সরকারি কলেজের প্রমোশনের নিয়ম পাল্টেছে। শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, নতুন এই নিয়মে পরীক্ষার খাতার যথাযথ মূল্যায়ন না হওয়ার ফলে তাঁরা গণহারে অকৃতকার্য হচ্ছেন। আন্দোলনের মুখে গত মাসের শেষে সাত কলেজ প্রশাসন স্নাতক (সম্মান) প্রথম ও দ্বিতীয় পর্বে সর্বোচ্চ দুই বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীদের প্রমোশনের সুযোগ দেয়। কিন্তু এখন তিন বিষয় পর্যন্ত অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা প্রমোশন চান।

সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলনের একজন সংগঠক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আজ অফিস চলাকালীন কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আমরা আবেদনপত্রটি পৌঁছাতে পেরেছি। কাল বুধবার দুপুর ১২টার মধ্যে সব কটি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর আবেদন জমা দেওয়ার পর এর রিসিভ কপিগুলো নিয়ে আমরা আবারও কবি নজরুল কলেজে সাত কলেজের সমন্বয়ক আ ই কে সেলিম উল্লাহ খন্দকারের কাছে যাব। তিনি বিষয়টি সাত কলেজের অধ্যক্ষদের সঙ্গে আলোচনা করবেন বলে কথা দিয়েছেন।’

কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর দেওয়া ওই আবেদনপত্রে প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষে তিন বিষয়ে অকৃতকার্য শিক্ষার্থীরা বলেছেন, প্রকাশিত ফলাফলে সাত কলেজের ২০১৭-১৮ ও ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের সব বিভাগের অধিকাংশই তিন বিষয়ে অকৃতকার্য। করোনাকালে জীবনের তিন বছর নষ্ট হওয়ার সম্মুখীন এই শিক্ষার্থীদের পরবর্তী বর্ষে উত্তীর্ণ করে বাধিত করবেন।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওপর চাপ কমাতে ঢাকার সাতটি সরকারি কলেজকে ২০১৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়। কবি নজরুল ও সোহরাওয়ার্দী কলেজ ছাড়া অন্য কলেজগুলো হলো ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, মিরপুর সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত হওয়ার পর এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা প্রথমে উল্লসিত হয়েছিলেন। কিন্তু সেশনজট ও গণহারে অকৃতকার্য হওয়ার কারণে এক বছর না যেতেই সেই উল্লাস ফিকে হয়ে যায়। কয়েক দফায় আন্দোলনেও নামেন রাজধানীর এই কলেজগুলোর শিক্ষার্থীরা।