‘সীমিত পরিসরে’ প্রভাতফেরি করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলাচলের ম্যাপ
ছবি: সংগৃহীত

করোনা পরিস্থিতির কারণে এবার মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘সীমিত পরিসরে’ প্রভাতফেরি করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামানের নেতৃত্বে এই প্রভাতফেরিতে অংশ নেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেটের সদস্য, শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চ্যুয়াল শ্রেণিকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান এসব কথা জানান। সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটির সমন্বয়কারী ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি মো. রহমত উল্লাহ এবং সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে জনসমাগম এড়াতে এ বছর সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সর্বোচ্চ পাঁচজন এবং ব্যক্তিপর্যায়ে সর্বোচ্চ দুজন একসঙ্গে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের বেদিতে ফুল দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে সবাইকে অবশ্যই যথাযথভাবে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ করতে ও মাস্ক পরতে হবে এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে পলাশী মোড় থেকে শহীদ মিনার পর্যন্ত রাস্তায় তিন ফুট পরপর চিহ্ন থাকবে। এই চিহ্ন অনুসরণ করে সবাই পর্যায়ক্রমে শহীদ মিনারে যাবেন এবং ফুল দেবেন। এ ক্ষেত্রে যথাযথ রুট ম্যাপ অনুসরণ করতে হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন প্রবেশপথে স্বেচ্ছাসেবকেরা হাতমাইক দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণ ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার ব্যাপারে প্রচার চালাবেন। স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার বিষয়টিও তাঁরা পর্যবেক্ষণ করবেন।

ঢোকা যাবে শুধু পলাশী মোড় দিয়ে

শহীদ দিবসে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় চলাচলের একটি রুট ম্যাপ প্রকাশ করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও অমর একুশে উদযাপন কেন্দ্রীয় সমন্বয় কমিটি। ফুল দিতে শহীদ মিনারে যেতে সবাইকে পলাশী মোড় হয়ে ঢুকতে হবে।
পলাশী থেকে সলিমুল্লাহ মুসলিম হল ও জগন্নাথ হলের সামনে দিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় যাওয়া যাবে। ফুল দেওয়ার পর বের হতে হবে চানখাঁরপুল অথবা দোয়েল চত্বর দিয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ অন্য রাস্তাগুলো এ সময় বন্ধ থাকবে।

যথাযোগ্য মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও সুশৃঙ্খলভাবে মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ বিভিন্ন সংস্থা, রাজনৈতিক দল, সংগঠন, গণমাধ্যমকর্মী ও সর্বসাধারণের সহযোগিতা চেয়েছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য।