সোহরাওয়ার্দী মেডিকেলে মর্গ চালু

১২ বছর পর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গ চালু করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দুটি লাশের ময়নাতদন্তের মধ্য দিয়ে মর্গের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয়।

শেরেবাংলা নগরে ২০০৫ সালে বেগম খালেদা জিয়া মেডিকেল কলেজ ও শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতাল নামে বর্তমান শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়। কিন্তু প্রতিষ্ঠানটিতে শিক্ষা কার্যক্রম শুরু হয় ২০০৬ সালে। ২০০৯ সালে কলেজটির নাম পরিবর্তন করে সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ করা হয়।

হাসপাতাল সূত্র জানায়, সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পেছনের দিকে একতলা পাকা ভবনে নতুন এই মর্গ করা হয়েছে।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের ফরেনসিক মেডিসিন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সেলিম রেজা প্রথম আলোকে বলেন, আধুনিক মর্গটি নির্মাণে দুই কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। গতকাল প্রথম দিনে পুলিশের পাঠানো দুটি লাশের ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে নতুন এই মর্গে। এর আগে এলাকা নির্ধারণ করে লাশ পাঠানোর জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন কমিশনারকে (ডিএমপি) চিঠি দেওয়া হয়েছিল।

 জানতে চাইলে ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার (অপরাধ) কৃষ্ণপদ রায় গতকাল প্রথম আলোকে বলেন, ডিএমপির মিরপুর বিভাগের সাতটি এবং তেজগাঁও বিভাগের পাঁচটি থানা এলাকা থেকে উদ্ধার করা লাশ এখন থেকে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে। ডিএমপির বাকি ৩৭ থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া লাশ ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও পুরান ঢাকার স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মর্গে পাঠানো হবে।

ডিএমপির যুগ্ম কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বলেন, বিভিন্ন ঘটনা বা দুর্ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় কেউ মারা গেলে তিনি যে এলাকার হোন, সংশ্লিষ্ট হাসপাতালের মর্গে তাঁর ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করা হবে। এ ছাড়া বিভিন্ন ঘটনা ও দুর্ঘটনায় আহত ব্যক্তি, নির্যাতিতা ও ধর্ষণের শিকার নারী-শিশুরা যে হাসপাতালে চিকিৎসা নেবে, সেই কলেজ বা হাসপাতাল থেকে তারা চিকিৎসা সনদ নেবে। এতে ঢাকা মেডিকেলের ওপর চাপ কমে যাবে এবং দ্রুত মামলার নিষ্পত্তি করা যাবে।

ডিএমপি সূত্র জানায়, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের মর্গে লাশ পাঠানো ১২ থানার মধ্যে আছে মিরপুর মডেল, পল্লবী, কাফরুল, দারুস সালাম, শাহ আলী, ভাষানটেক, রূপনগর, তেজগাঁও, মোহাম্মদপুর, তেজগাঁও শিল্পাঞ্চল, আদাবর ও শেরেবাংলা নগর থানা।

শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক এ বি এম মাকসুদুল আলম প্রথম আলোকে বলেন, আধুনিক মর্গটি চালু করতে হাসপাতালের পরিচালক উত্তম কুমার বড়ুয়া তাঁকে সহযোগিতা করেছেন। তিনি বলেন, মর্গে শীতাতপ নিয়ন্ত্রণ যন্ত্রে (মরচুয়ারি) ১২টি লাশ রাখা যাবে। এখন থেকে ছাত্রদের ফরেনসিক ক্লাস করতে অন্য মেডিকেল কলেজে যেতে হবে না।