১১ বীর নারী পেলেন সম্মাননা

একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সময় নারীর ভূমিকা ছিল অপরিসীম। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তাঁরা মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দেওয়া, খাবার দেওয়াসহ নানাভাবে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়ে দেশ স্বাধীনে অনন্য ভূমিকা রেখেছেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে অবদান রাখার জন্য ১১ জন বীর নারীর সম্মাননা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। গতকাল বুধবার বিকেলে শিশু একাডেমী মিলনায়তনে এ অনুষ্ঠানটি হয়। স্বাধীনতা দিবসের ৪৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন উপলক্ষে ৭১ ফাউন্ডেশন অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে যেসব বীর নারী মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মাননা দেওয়া হয় তাঁরা হলেন বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব (মরণোত্তর), আয়েশা খানম, পান্না কায়সার, ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী, ড. ভ্যালেরি এ টেইলর, মমতাজ বেগম, রোকেয়া কবির, লুবনা মরিয়ম, শীলা মোমেন, সুলতানা কামাল ও হান্নানা বেগম।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, মুক্তিযুদ্ধে নারীর অবদান অপরিসীম। অনেক নারী মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিয়েছেন, খাবার দিয়েছেন। শহীদদের সংখ্যা নিয়ে খালেদা জিয়ার বক্তব্যের সমালোচনা করে তিনি বলেন, পাকিস্তান স্বীকার করে না যে মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লাখ শহীদ হয়েছে, আর খালেদা জিয়াও তাদের সঙ্গে কণ্ঠ মিলিয়েছেন। খালেদা শহীদের সংখ্যাকে বিকৃত করার চেষ্টা করেছেন কিন্তু তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বাংলাদেশ এখন পাকিস্তানের চেয়ে অনেক এগিয়ে বলে মন্তব্য করেন তোফায়েল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাবেক ডেপুটি স্পিকার ও মুক্তিযোদ্ধা সংহতি পরিষদের চেয়ারম্যান সাংসদ কর্নেল (অব.) শওকত আলী, সাংবাদিক আবেদ খান প্রমুখ। সভাপতিত্ব করেন ৭১ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান খালেদ শওকত আলী। অনুষ্ঠানের শুরুতে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন ৭১ ফাউন্ডেশনের শিল্পীগোষ্ঠী।