২১৯ প্রবাসীকে ৫৪ ধারার দায় থেকে মুক্তি

হাইকোর্ট
ফাইল ছবি

কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে দেশে আসা ২১৯ প্রবাসী বাংলাদেশি ৫৪ ধারার দায় থেকে অব্যাহতি পেয়েছেন।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ বৃহস্পতিবার ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটের দাখিল করা লিখিত ব্যাখ্যা থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

তুরাগ থানায় গত ৪ জুলাই করা সাধারণ ডায়েরির ভিত্তিতে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তার ওই ২১৯ প্রবাসী ইতিমধ্যে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন বলে আজ আদালতকে জানিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা। তাঁর ব্যাখ্যায় বলা হয়, তিনটি দেশে তাঁদের অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত হওয়া সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়া গেছে। তবে তুরাগ থানা এলাকায় কোয়ারেন্টিন সেন্টারে থাকার সময় সেখানে অপরাধ সংঘটনের ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া যায়নি। এ কারণে তাঁদের অব্যাহতি দিতে গত ২৭ অক্টোবর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতিবেদন দেওয়া হয়।

বাহরাইন থেকে দেশে ফিরে কোয়ারেন্টিন শেষে ৫৪ ধারায় গ্রেপ্তারের পর চাঁদপুরের শাহীন আলম গত মাসে হাইকোর্টে একটি আবেদন করেন। এতে ৫৪ ধারার কার্যক্রমের তদন্তের দীর্ঘসূত্রতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়। এ আবেদনের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ৮ অক্টোবর হাইকোর্টের একই বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেন।

হাইকোর্ট ৫৪ ধারার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা তুরাগ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ সফিউল্লাহকে ৫ নভেম্বর আদালতে উপস্থিত হতে নির্দেশ দেন।
আদালতে আবেদনকারীর পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়ুয়া।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন। আদালতের নির্দেশ অনুসারে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হন ও লিখিত ব্যাখ্যা দেন। শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট পর্যবেক্ষণসহ আবেদনটি নিষ্পত্তি করে দেন।

পরে মো. সারওয়ার হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে উপস্থিত হয়ে ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তদন্ত শেষে ২১৯ জনকে অব্যাহতি দেওয়ার জন্য তিনি আদালতে প্রতিবেদন দিয়েছেন। লিখিত ব্যাখ্যায় চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এ এম জুলফিকার হায়াতের ভাষ্য, আটক ব্যক্তিদের নাম-ঠিকানার সঠিকতা ও পিসিপিআর–সংক্রান্ত (অতীত রেকর্ড) ইতিবাচক প্রতিবেদন পাওয়ার পর ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে ১১ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন তারিখে আটক ব্যক্তিরা জামিনে মুক্ত হন।

কুয়েত, কাতার ও বাহরাইন থেকে ২১৯ জন প্রবাসী দেশে ফেরত আসার পর তাঁদের কোয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টিন শেষে ৫৪ ধারায় সন্দেহভাজন দেখিয়ে তুরাগ থানায় করা সাধারণ ডায়েরির পর তাঁদের গ্রেপ্তার দেখানো হয়।